খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

বৃহস্পতিবার, ২০শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পাকিস্তানকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের চ্যাম্পিয়ন কিউইরা

পাকিস্তান ক্রিকেট দলটি বরাবরই আনপ্রেডিক্টেবল! মনে হয়েছিল ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ঘরের মাঠেই দর্শক হয়ে থাকবে তারা। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণ করে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ লক্ষ্য পেরিয়ে তারা ফাইনালে ওঠে। তবে সিরিজের অপরাজেয় দল নিউজিল্যান্ড সেখানে অপেক্ষায় ছিল, লড়াইটা তাই অতো সহজ হওয়ারও কথা ছিল না। হলোও তাই, স্বাগতিক পাকিস্তানকে ২৪৩ রানে আটকে ফেলে কিউইরা ৫ উইকেটের জয়ে হয়ে গেল চ্যাম্পিয়ন।

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নবম আসরের পর্দা উঠবে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী ম্যাচ দিয়ে। তার আগে ড্রেস রিহার্সালে নেমেছিল দুই দল। তিন দেশের এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েই যেন কিউইরা আগাম হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল। যেখানে ‘এ’ গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ। তার আগে প্রস্তুতিটা বেশ দারুণই হলো কিউইদের। প্রথম রাউন্ডের দুই ম্যাচের পর ফাইনালেও মিচেল স্যান্টনারের দলই হেসেছে শেষ হাসি।

পুরো সিরিজেই দারুণ পারফর্ম করা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এদিন (শুক্রবার) করাচিতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। ফাইনালে বড় সংগ্রহের উদ্দেশ্যে নেমে স্বাগতিকরা শুরুতেই হোঁচট খায়। ইনফর্ম ব্যাটার ফখর জামান (১০) আউট হয়ে যান দলীয় মাত্র ১৬ রানে। সৌদ শাকিলও ফেরেন মাত্র ৮ রান করে। সঙ্গীকে হারিয়ে খেই হারিয়ে বসেন ক্রিজে থিতু হতে থাকা বাবর আজম। ওয়ানডেতে যৌথভাবে দ্রুততম ৬০০০ রানের মাইলফলক গড়ার পথে তিনি ৩৪ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলেছেন। পাকিস্তান তৃতীয় উইকেট হারায় ৫৪ রানে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রেকর্ডগড়া জুটিতে জয় নিশ্চিত করা মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং সালমান আলি আগা এদিনও বেধেছেন ৮৮ রানের জুটি। সেটাই মূলত পাকিস্তানকে সম্মানজনক স্কোরের ভিত গড়ে দেয়। যদিও ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে সেটি যথেষ্ট কি না তা আলোচনাসাপেক্ষ।

বিপর্যয় সামলে উঠতে গিয়ে ধীরগতির ইনিংস খেলেছেন রিজওয়ান-সালমান। পাকিস্তানি অধিনায়ক ৭৬ বলে ৪৬ এবং সালমান ৬৫ বলে করেন ৪৫ রান। তাদের বিদায়ের পর তৈয়ব তাহির ৩৩ বলে ৩৮, ফাহিম আশরাফ ২২ এবং নাসিম শাহ’র ১৯ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষের ৩ বল আগেই পাকিস্তান ২৪৩ রানে অলআউট হয়ে যায়।

কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেছেন তরুণ পেসার উইলিয়াম ও’রুর্ক। মাইকেল ব্রেসওয়েল এবং মিচেল স্যান্টনার দুটি করে উইকেট নেন।

লক্ষ্যটা বেশি বড় নয়, তবুও শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে সাবধানী ব্যাটিংয়ে শুরুটা করে নিউজিল্যান্ড। অবশ্য কারণও আছে, দলীয় ৫ রানেই আউট হয়ে যান ওপেনার উইল ইয়াং। এরপর কেইন উইলিয়ামসন ও ডেভন কনওয়ে মিলে ৭১ রানের জুটি গড়েন। উইলিয়ামসন ৩৪ এবং কনওয়ে ৪৮ রান করে বিদায় নেন অল্প সময়ের ব্যবধানে। এরপর ৮৭ রানের জুটিতে কিউইদের জয়ের পথটা ক্রমান্বয়ে মসৃণ করেছেন ড্যারিল মিচেল ও টম ল্যাথাম। ফিফটি পেরিয়ে দুজনেই আউট হলেও, ততক্ষণে জয় থেকে অল্প দূরত্বে সফরকারীরা।

মিচেল ৫৭ এবং ল্যাথাম করেন ৫৬ রান। গ্লেন ফিলিপস শেষদিকে ২০ রান করলে ২৮ বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখেই নিউজিল্যান্ডের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায়। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন নাসিম শাহ।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy