ম্যাডিসন ঘটালেন অঘটন! অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে সুয়াটেকের বিদায়!
মনে করা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর আরিনা সাবালেঙ্কার মুখোমুখি হতে চলেছেন দু নম্বর সিঙ্গস তারকা সুয়াটেক, কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিলেন মার্কিন ম্যাডিসন কি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অঘটন ঘটিয়ে দিলেন ম্যাডিসন কি। ২৯ বছর বয়সী এই মার্কিন তারকা মহিলাদের সিঙ্গলসে হারিয়ে দিলেন বিশ্বের দু নম্বর ইগা সুয়াটেককে। ১৯তম বাছাই ম্যাডিসন উঠলেন নিজের প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ফাইনালে।
২ ঘন্টা ৩৫ মিনিটের দীর্ঘ লড়াইয়ের শেষে ইগা সুয়াটেককে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে পৌঁছালেন ম্যাডিসন। প্রথম সেটে পিছিয়ে পড়ার পরেও দুর্দান্ত কামব্যাক করলেন মার্কিন তারকা। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সেট জিতে ফাইনালের টিকিট হাতে পেলেন। ম্যাডিসন কি বলেন,
‘আমরা একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম,কে কাকে ছাপিয়ে যেতে পারে সেই জন্য। ভালো লাগছে যে আমি শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিততে পেরেছি।’
খেলার ফলাফল ম্যাডিসন কির পক্ষে ৫-৭, ৬-১, ৭-৬। অর্থাৎ প্রথম সেটে বিশ্বের দু নম্বর মহিলা টেনিস সুপারস্টার ইগা সুয়াটেক সহজে জয় তুলে নিতে পারলেও পরের দুই সেটেই তিনি পড়েন বিপাকে। দ্বিতীয় সেটে তো সুয়াটেককে কার্যত উড়িয়ে দেন ম্যাডিসন কি। ৬-১ ফলে সেট জিতে নিয়ে তিনি সমতায় ফিরেছিলেন।
এরপর টানটান লড়াই চলে তৃতীয় সেটে। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই ৭-৬ ফলে অর্থাৎ টাইব্রেকারে ম্যাডিসন কি জেতেন (১০-৮) ব্যবধানে। সেই সুবাদেই তিন সেটের লড়াইয়ের শেষে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালের টিকিট হাতে পান তিনি। টাইব্রেকারে একটা সময় সুয়াটে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেলেও, শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করেন ম্যাডিসন।
ম্যাচের শেষে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালের টিকিট পাওয়া ম্যাডিসন কি বলছেন,
‘ম্যাচে খুবই উচ্চমানের লড়াই হয়েছে, আমি ফাইনালে উঠতে পেরেছি। খুবই ভালো লাগছে। প্রথম সেট হারলেও দ্বিতীয় সেটে আমি মোমেন্টাম পেয়ে গেছিলাম। তৃতীয় সেটে অবশ্য একটু ওঠা নামা হয়েছে, লড়াই বেশ জমেছিল। টাইব্রেক করার জন্য ১০ পয়েন্ট অবদি খেলা গড়িয়েছে, বিষয়টা বেশ নাটকীয়।’