খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

বুধবার, ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

স্বপ্নের প্লে-অফের পথে এক ধাপ এগিয়ে সিলেট, টানা হারে ব্যাকফুটে খুলনা

সিলেট পর্বের শুরু থেকেই দলকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন সিলেটের দর্শকরা। সিলেট ছাড়ার আগেই সিলেট স্ট্রাইকার্স দিল এর প্রতিদান। শক্তিশালী খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে আসরে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে আরিফুল হকের দল। আর তাতে প্লে-অফে ওঠার স্বপ্নও ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হচ্ছে সিলেটের। অন্যদিকে আসরে ভালো শুরু করলেও টানা দুই ম্যাচ হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে খুলনা।

সিলেটের বাঁহাতি পেসার রুয়েল মিয়ার দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে টানা দুই চার মেরে সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন রনি। কিন্তু ফিরতি বলে একদম বাউন্ডারির কাছে তানজিম হাসান সাকিবের হাতে ক্যাচ হলে জয় আর পাওয়া হয়নি। শেষ ২ বলে ১০ রানের সমীকরণে পঞ্চম বলে রান আউট হন অঙ্কনও। আর শেষ বলে ১ রান নিতে পারায় ৮ রানের পরাজয় নিশ্চিত হয় খুলনার।

ম্যাচ হারার আগে অবশ্য দলকে জয়ের পথেই রাখছিলেন অঙ্কন-রনি। শেষ দিকে তাদের ১৪ বলে ৩৫ রানের জুটি সেই সম্ভাবনা দেখাচ্ছিল। তবে শেষে আর পূর্ণতা পায়নি। ১৬ বলে ২৮ রান করা অঙ্কনের বিপরীতে ৬ বলে ১৪ রান করেন রনি।

এর আগে সিলেটে ১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। দলীয় ৪৭ রান হওয়ার আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন উইলিয়াম বসিস্টো। তবে ব্যক্তিগত ৪৩ রানে খুলনার ওপেনার আউট হলে বড় ব্যবধানে হারের শঙ্কা জাগে। বসিস্টো যখন আউট হন তখন দলীয় স্কোর ৯৮ রানে ৫ উইকেট।

সেখান থেকে খুলনার মাত্র ৮ রানের হারটা মূলত পাকিস্তানের ব্যাটার মোহাম্মদ নওয়াজের কল্যাণে। ব্যাটিংয়ে নেমে ছোট্ট এক ঝড় তুলেছিলেন তিনি। তাতে জয়ের স্বপ্নও দেখছিল খুলনা। কেননা ১৮ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংসে যখন আউট হন তখন দলের প্রয়োজন ছিল ২৩ বলে ৫৩ রান। চার-ছক্কার এই যুগে অসম্ভব বলে কিছু ছিল না। অঙ্কন ও হায়দার রনিও অবশ্য দলকে জয়ের পথেই রেখেছিল। তবে শেষ ওভারে আর ১৯ রানের সমীকরণটা মেলাতে পারেননি দুজনে।

এতে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ ‍উইকেটে ১৭৪ রানে থামে খুলনার ইনিংস। এ হারে বিপিএলে মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখল খুলনা। টানা দুই জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা দলটি টানা দ্বিতীয় পরাজয়ও দেখল। অন্যদিকে হ্যাটট্রিক হারে টুর্নামেন্ট শুরু করা সিলেটের এটি টানা দ্বিতীয় জয়।

এদিকে, ঘরের মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের শুরুটা ভালো ছিল না। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে রান আসে মাত্র ২১। তাও হারাতে হয় রাহকিম কর্নওয়াল ও জর্জ মানসির উইকেট। তবে তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন রনি তালুকদার ও জাকির হাসান। দুজনের ১০৬ রানের পার্টনারশিপে বিপর্যয় প্রতিরোধ করে সিলেট।

১৫ রানে ২য় উইকেট হারানো সিলেট তৃতীয় উইকেট হারায় ১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ১২১ রানে। ৪৪ বলে ৫৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন রনি। তবে জাকির রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যান। অ্যারন জোন্স ৬ বলে ২০ রানের ক্যামিও খেললেও জাকের আলী অনিক পান গোল্ডেন ডাকের স্বাদ।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy