খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

শুক্রবার, ৬ই ডিসেম্বর ২০২৪

ভিনিকে টপকে রদ্রির হাতে ব্যালন ডি’অর

 

দূর্ভাগ্য ভিনির!

ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পুরস্কার পাবেন না বলেই, প্যারিসে যাননি রিয়াল মাদ্রিদের কোনো প্রতিনিধি। সেই খবর চাউর হতেই আর বুঝতে বাকি ছিল না এবারের ব্যালন ডি’ অর কার হাতে উঠতে যাচ্ছে।

২০১৮ সালে লুকা মদ্রিচের পর প্রথম মিডফিল্ডার হিসেবে সোনালী রঙের ট্রফিতে চুমু খেলেন রদ্রি। ইনজুরির কারণে ক্র্যাচে ভর করেই মঞ্চে উঠতে হয় তাকে।

 

জর্জ উইয়াহর কাছে থেকে ফুটবলে ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে ‘সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ’ পুরস্কারটি নেওয়ার সময় আবেগে ঝলমল করছিল তার চোখ। তা বরং অস্বাভাবিক কিছু নয়। গত ১৬ বছরে এই পুরস্কারে ৮ বার লিওনেল মেসি ও ৫ বার হাত দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দুজনের কেউই এবার সংক্ষিপ্ত ৩০ জনের তালিকায় ছিলেন না। ২০০৩ সালের পর যা প্রথমবারের মতো ঘটল।

তাই ভিনিসিয়ুস, জুড বেলিংহ্যাম ও রদ্রিরাই আলোচনার শীর্ষে থাকেন। শেষ পর্যন্ত রিয়ালের দুই ফুটবলারকে টপকে ফরাসি সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবলের বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন রদ্রি।

১৯৬০ সালের পর এই প্রথম ব্যালন ডি’অর জিতলেন স্পেনের কোনো ফুটবলার। সবশেষ দেশটির হয়ে এই পুরস্কারটি জেতেন লুইস সুয়ারেস। তবে ম্যানচেস্টার সিটির ইতিহাসে রদ্রিই প্রথমবারের মতো পরিচয় করিয়ে দিলেন ব্যালন ডি’অরের সঙ্গে। গত মৌসুমটা কি দুর্দান্তভাবেই না কেটেছে এই মিডফিল্ডারের। সিটির হয়ে ৫০ ম্যাচ খেলে ৯ গোল ও ১৪ অ্যাসিস্ট করেন তিনি। জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগ, উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা।

পরে জাতীয় দলের হয়েও সেই ফর্ম ধরে রাখেন রদ্রি। স্পেনকে ১২ বছর পর  ইউরো জেতাতে অসামান্য ভূমিকা রাখেন এই মিডফিল্ডার। তাই তো টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের ট্রফি ওঠে তার হাতেই। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে গত মৌসুমে কেবল একটি ম্যাচেই হারের স্বাদ পেয়েছেন তিনি।

সাংবাদিকদের ভোটাভুটিতে ঠিক সেই জায়গাটিতেই হয়তো পিছিয়ে পড়েন ভিনি-বেলিংহ্যাম। রিয়ালের হয়ে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলেও নিজ নিজ জাতীয় দলের হয়ে কিছুই অর্জন করতে পারেননি তারা। তাই ভিনিকে দুই ও বেলিংহ্যামকে তালিকার তিনে থাকতে হয়।

এদিকে মেয়েদের বিভাগে টানা দ্বিতীয়বার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন বার্সেলোনার আইতানা বোনমাতি। পেছনে ফেলেন দুই ক্লাব সতীর্থ কারোলিন গ্রাহাম হানসেন ও সালমা পারায়উয়েলোকে।

এক নজরে ব্যালন ডি’অর ২০২৪
বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলার : লামিন ইয়ামাল।
বর্ষসেরা নারী ক্লাব : বার্সেলোনা।
বর্ষসেরা পুরুষ ক্লাব : রিয়াল মাদ্রিদ।
বর্ষসেরা স্ট্রাইকার :কিলিয়ান এমবাপ্পে ও হ্যারি কেইন।
বর্ষসেরা পুরুষ গোলকিপার : এমিলিয়ানো মার্তিনেস।
বর্ষসেরা পুরুষ কোচ : কার্লো আনচেলত্তি।
বর্ষসেরা নারী কোচ : এমা হায়েস।
সক্রেটিস অ্যাওয়ার্ড : হেনিফার এরমোসো।
বর্ষসেরা নারী ফুটবলার : আইতানা বোনমাতি।
বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলার : রদ্রি।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy