সাকা-পিকফোর্ডের নৈপুণ্যে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড
টানটান উত্তেজনাপূর্ন ম্যাচে শেষ হাসি হাসলো ইংল্যান্ড।তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড।শুরুতে টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় ম্যাচ।তবে ৭৫ মিনিটে লিড পেয়ে জায় সুইজারল্যান্ড।ফলে রাউন্ড অফ সিক্সটিনের ম্যাচের মতো এইবারও পিছিয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। তবে এইবার ইংল্যান্ডের ত্রাতা হয়ে এলেন সাকা। ৮০ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়ে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান তিনি।
নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও সুরাহা না হলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।আর টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলের ব্যবধানে গতবারের কোয়ার্টার ফাইনালিস্টদের হারায় থী-লায়ানরা।এই জয়ে সেমিতে পা রাখলো ইংল্যান্ড।
চলতি ইউরোতে খুব একটা ভাল ফর্মে খেলছিল না ইংল্যান্ড। গ্রুপ পর্ব থেকে শুরু করে কোনও ম্যাচেই তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। সুইৎজ়ারল্যান্ড ইংল্যান্ডের এই দুর্বলতাকেই কাজে লাগায়। রক্ষণ সাজিয়ে আক্রমণে ওঠার পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিল তারা। প্রথমার্ধ জুড়ে মন্থর ফুটবল চলে। কিছুটা হলেও গোল করার তাগিদ দেখাচ্ছিল সুইৎজ়ারল্যান্ড। সেই সব আক্রমণও ইংল্যান্ডের বক্সের কাছে গিয়ে আটকে যাচ্ছিল। প্রথম ৪৫ মিনিটে গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনও দল। গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে সুইৎজ়ারল্যান্ড। ৫১ মিনিটের মাথায় কনসার শট বাঁচান ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক জর্ডন পিকফোর্ড। ব্রিল এমবোলো, গ্রানিট জ়াকা, রুবেন ভারগাসেরা সুযোগ তৈরি করছিলেন। অন্য দিকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না হ্যারি কেনকে। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক যে ১০০ শতাংশ ফিট নন, তা তাঁর দৌড় দেখেই বোঝা গেল। তাঁর পা থেকে সহজেই প্রতিপক্ষ ফুটবলারেরা বল কেড়ে নিলেন। বার বার পড়ে গিয়ে ফাউল আদায়ের চেষ্টা করলেন কেন। আগের ম্যাচের নায়ক বেলিংহ্যামকেও এই ম্যাচে নিষ্প্রভ দেখাচ্ছিল। ইংল্যান্ডের হয়ে একমাত্র চোখে পড়ছিল বুকায়ো সাকাকে।৭৫ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় সুইৎজ়ারল্যান্ড। ডান প্রান্ত ধরে এনডয়ে বক্সে বল পাঠান। সেই বল বার করতে পারেননি জন স্টোনস। তাঁর পায়ে লেগে বল যায় এমবোলোর কাছে। কাইল ওয়াকারকে ঘাড়ের কাছে নিয়ে গোল করেন তিনি। পিকফোর্ডের কিছু করার ছিল না।
গোল খাওয়ার পরে একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন করেন ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। তাতে দলের খেলা কিছুটা বদলে দেয়। আক্রমণ বাড়ায় ইংল্যান্ড। তার ফলও মেলে। ৮০ মিনিটের মাথায় একক দক্ষতায় ইংল্যান্ডকে খেলায় ফেরান সাকা। বক্সের বাইরে বল ধরে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন তিনি। তবে গোলের ক্ষেত্রে দোষ রয়েছে সুইৎজ়ারল্যান্ডের রক্ষণ ও গোলরক্ষক ইয়ান সোমারের। রক্ষণের কেউ সাকাকে আটকানোর চেষ্টা করেননি। সোমারও গোল বাঁচানোর চেষ্টা করেননি। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকেন।সাকার পায়ে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। এরপর নির্ধারিত সময়ে আর গোল না হলেও খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। আর টাইব্রেকারে ৫-৩গোলের ব্যবধানে জয় নেয় থী-লায়নরা।