অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে লড়াই করে হারল বাংলাদেশ
প্রথম লেগে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭-০ গোলের লজ্জার হারের পর দ্বিতীয় লেগেও ঘরের মাঠে বাংলাদেশের ২-০ গোলের হার।বৃহস্পতিবার বসুন্ধরার কিংস এরেনায় ওশেনিয়ার দলটির বিপক্ষে খেলতে নামে লাল সবুজরা।তবে ঘরের মাঠে তেমন একটা সুবিধা করতে না পেরে ২-০ গোলের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন হাবিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পরের পর্বে উঠার সম্ভাবনা অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিলো বাংলাদেশের।তাই এই ম্যাচে তেমন একটা প্রত্যাশা না থাকলেও শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটা প্রতিদ্বন্ধীতাপূর্ণ ম্যাচের প্রত্যাশাই ছিলো ভক্ত-সমর্থকদের। প্রত্যাশা পূরণ না হলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি বাংলাদেশর সর্বনিম্ন ব্যবধানে হার। এর আগে মোট ৩ বার মুখোমুখি হয়ে কখনো ৪ গোলের কম খায়নি বাংলাদেশ। চতুর্থবার সেই ব্যবধান দুইয়ে নামিয়ে এনেছে ক্যাবরেরার দল। তবে ৪ বার মুখোমুখি হয়ে এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার জালে বল জড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচের আগের দিন কিংস এরেনায় ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় মাঠ কিছুটা কর্দমাক্ত ছিল।তাই ম্যাচ শুরুর আগে যে হোম এডভান্টেজের কথা বলা হয়েছিলো তা ঠিকই পেয়েছিলো লাল সবুজরা।
গত লেগে ৭ গোল করা অস্ট্রেলিয়া এদিন প্রথমার্ধে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি। বল দখল এবং আক্রমণে তারা এগিয়ে ছিল ঠিকই, তবে জালের দেখা পেতে ভালোই কাঠখড় পোহাতে হয়েছে দলটিকে। ম্যাচের ২৯ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় অস্ট্রেলিয়া। এই গোলে অবশ্য ভাগ্যেরও সহায়তা ছিল। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার আজদিন হুরস্টিকের দূর থেকে নেওয়া শটটি বাংলাদেশের ডিফেন্ডার মেহেদী মিঠুর পায়ে লেগে জালের দেখা পায়।ম্যাচ অফিশিয়াল গোলটিকে আত্মঘাতী গোল হিসেবে লিপিবদ্ধ করেছে।
প্রথমার্ধে তেমন একটা সুযোগ করতে না পেরে দ্বিতীয়ার্ধে ৫ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। বেঁঞ্চে বসে থাকা জামাল ভুঁইয়া মাঠে নামেন ৫৫ মিনিটে। এরপরেও বাংলাদেশের খেলায় তেমন একটা পরিবর্তন আসেনি।ম্যাচের ৬২মিনিটে হেড করে কুসুনি গোল করলে ব্যাবধান দ্বিগুণ হয় অস্ট্রেলিয়ার।পরে ২ গোলের লিড পাওয়ার পর তেমন একটা আক্রমণ করেনি অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশও উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।ফলে ২-০গোলের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজরা।