প্রত্যাশার চাপে বাঁধা পড়লেন জোকোভিচ
স্বপ্ন ছোঁয়ার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন টেনিসের এক নম্বর তারকা নোভাক জোকোভিচ। রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালকে পেছনে ফেলে পুরুষ টেনিস ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের হাতছানির ছিল তাঁর সামনে। একইসঙ্গে ৫২ বছরের ইতিহাস ভেঙে এক মৌসুমে চার-চারটি গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের সুযোগ ছিল সার্বিয়ান তারকার সামনে।
বাংলাদেশ সময় রোববার রাতে ইউএস ওপেনের ফাইনালে তাকে ৬-৪, ৬-৪ ও ৬-৪ সেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা জিতেছেন রাশিয়ার দানিল মেদভেদেভ।
২৫ বছর বয়সী মেদভেদেভ প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন তৃতীয়বার ফাইনাল খেলে। ২০১৯ সালে এই ইউএস ওপেনের ফাইনালেই রাফায়েল নাদালের কাছে হেরেছিলেন তিনি। এরপর এ বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে মেদভেদেভের অপেক্ষা বাড়িয়েছিলেন জোকোভিচ। ইউএস ওপেনে জোকোভিচকে হারিয়ে সেই হারের প্রতিশোধই নিয়ে নিলেন মেদভেদেভ।
বছরের প্রথম তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফরাসি ওপেন ও উইম্বলডন জিতে ইউএস ওপেনে পা রেখেছিলেন জোকোভিচ। কিন্তু, ইউএস ওপেনের মঞ্চে কোনো রেকর্ডই গড়া হলো না।
যে দাপট দেখিয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন, রোববার তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি তাঁর খেলায়। প্রথম সেটে শুরুতেই তাঁকে ব্রেক করেন মেদভেদেভ। দ্বিতীয় সেটেও একসময় ০-৩ পিছিয়ে পড়েন। অতীতে বহু বার প্রত্যাবর্তন করলেও রবিবার আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে তা দেখা যায়নি।
কেন এভাবে কার্যত আত্মসমর্পণ করতে হল মেদভেদেভের কাছে? জোকোভিচ বললেন, গোটা বছরে এত ম্যাচ খেলেছি, যা শারীরিকভাবে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, ‘আমি অনেক চেষ্টা করেছি। আমার পা চলছিল না ম্যাচে। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে খেলেছি। হ্যাঁ, ম্যাচে প্রচুর আনফোর্সড এরর করেছি। আমি আমার মানের ধারেকাছে ছিলাম না।’
এছাড়াও ম্যাচের পর তাঁকে অপ্রাপ্তির বেদনা পেয়ে বসেছে কি না, সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে ছোট্ট করে জোকোভিচের মন্তব্য, ‘এই প্রতিযোগিতার আগে যে হইচই শুরু হয়েছিল এবং মানসিক ভাবে গত দু’সপ্তাহ ধরে আমাকে যা সহ্য করতে হয়েছে, তা সত্যি আর নিতে পারছিলাম না। গোটা বিষয়ই বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল,অবশেষে গোটা বিষয়টি মিটে গেছে এ বার শান্তি।’