৯৯.৯৯ শতাংশ সম্ভাবনা সিটি ট্রেবল জিতবে না, বললেন গার্দিওলা
গত মৌসুম রূপকথার মতো কেটেছে ম্যানচেস্টার সিটির। ট্রেবল জয়ের ইতিহাস গড়েছে তারা। তবে এই মৌসুমেও সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তির কোনো সম্ভাবনা দেখেন না পেপ গুয়ার্দিওলা। ম্যানচেস্টার সিটি কোচের মতে, পিঠেপিঠি দুই মৌসুমে ট্রেবল জয়ের কাজ অসম্ভরের কাছাকাছি। তিনি বরং যতটা সম্ভব লড়াই করে যেতে চান শিরোপার জন্য।
গত মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে স্বপ্নের ট্রেবল জয়ের কীর্তি গড়ে ম্যানচেস্টার সিটি। ইংলিশ ক্লাবগুলির মধ্যে এই ত্রয়ী জয়ের নজির আগে ছিল কেবল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের কোচিংয়ে তারা যেটি করেছিল ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে।
চলতি মৌসুমেই এখনও দাপটেই ছুটে চলেছে ম্যানচেস্টার সিটি। গত মৌসুমের মতোই শুরুতে একটি বিবর্ণ থাকলেও মৌসুমের পরের ধাপে নিজেদের ধার ফিরে পেতে শুরু করেছে তারা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও এফএ কাপে তারা টিকে আছে ভালোভাবেই। প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ধরে রাখার পথেও তাদের অবস্থান শক্তই আছে। প্রিমিয়ার লিগে শনিবার এভারটনকে হারালেই অন্তত কিছু সময়ের জন্য শীর্ষে উঠে যাবে তারা। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ ১০ ক্লাবের মধ্যে তারাই কেবল ম্যাচ একটি কম খেলেছে এখনও পর্যন্ত। নিজেদের মাচগুলি জিতলে শীর্ষে থেকে যাবে গুয়ার্দিওলার দলই।
তাদের যে স্কোয়াড, যতটা তারকায় সমৃদ্ধ তারা, গুয়ার্দিওলা দলকে যেভাবে পরিচালনা করেন, তাতে এই মৌসুমেও তাদের ট্রেবল জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু এভারটনের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সিটি কোচ একরকম উড়িয়েই দিলেন সেই সম্ভাবনা।
“এটা হবে রূপকথার মতো… কিংবা এর চেয়েও বড় কিছু। আমাদের আপাতত ভাবনা এভারটনকে হারানো এবং এরপর দেখব সামনে কী অপেক্ষায়। ৯৯.৯৯ শতাংশ সম্ভাবনা আছে যে, আমরা এবার ট্রেবল জিততে পারব না, কারণও কোনো দল এখনও পর্যন্ত… এখনও পর্যন্ত… কখনোই, কখনোই… কখনোই এটা করতে পারেনি।”
“এটা যদি এতই সহজ হতো, তাহলে অন্য কোনো দল… ওই সময়ের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড… এটা করতে পারত। কিন্তু কাজটি সহজ নয়। এই আঙিনায় সবকিছু এত কঠিন যে, আগে আমরা কী করেছি, সেটা থেকে ভবিষ্যতের কোনো নিশ্চয়তা মেলে না। প্রতি তিন দিন পরপর সবকিছুরই পুনরাবৃত্তি করে যেতে হয় একদম মৌসুমের শেষ পর্যন্ত।”
আপাতত তিন শিরোপায় না তাকিয়ে লড়াই করে যেতে চান গুয়ার্দিওলা। মৌসুমের আসল সময়টা যত এগোবে, দলের ভেতর লড়াইয়ের ক্ষুধাটা অটুট দেখতে চান তিনি।
“আশা করি মার্চ ও এপ্রিলে একই তাড়না নিয়ে ছুটতে পারব এবং মে মাসে শিরোপার জন্য লড়াইয়ে থাকব। এটিই আমাদের লক্ষ্য।”
গুয়ার্দিওলার জন্য বড় স্বস্তি, দীর্ঘ চোট কাটিয়ে আবার মাঠে ফিরেছেন দলের প্রাণভ্রোমরা মিডফিল্ডার কেভিন ডে ব্রুইনে ও মূল গোল স্কোরার আর্লিং হলান্ড। তারা দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা আরেকবার তুলে ধরলেন সিটি কোচ।
“৬০ গোল করা একজন ফুটবলার যখন দলে ফেরে, অবশ্যই তা দলকে জেতাতে সহায়তা করে। অসংখ্য গোল করা ও গোলে সহায়তা করার মতো ফুটবলার যখন দলে থাকে, তা দলকে জেতায়। এটা বোঝার জন্য তো আর হার্ভার্ড বা ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করতে হয় না।”