প্রথম সেঞ্চুরিকে ২৪০ রানে নিয়ে থামলেন রবীন্দ্র
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথম দিনেই শতরানের স্বাদ পেয়েছিলেন রবীন্দ্র। চতুর্থ টেস্টে যা তার প্রথম সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় দিনে সোমবার ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁয়ে তিনি আউট হন শেষ পর্যন্ত ২৪০ রানে।
৫৪৬ মিনিট ক্রিজে থেকে ৩৬৬ বল খেলে ২৬ চার ও ৩ ছক্কায় এই ইনিংসটি সাজান ২৪ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিকেই রবীন্দ্রর চেয়ে বড় ইনিংসে রূপ দিতে পেরেছেন টেস্ট ইতিহাসের আর ১১ জন। তবে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে সবার ওপরে এখন তিনিই।
এখানে দুই যুগের বেশি পুরোনো রেকর্ড ভেঙেছেন রবীন্দ্র। ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে টেস্ট অভিষেকে ২১৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ম্যাথু সিনক্লেয়ার।
নিউ জিল্যান্ডের হয়ে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দেওয়ার কীর্তি গড়তে পেরেছেন আর কেবল দুজন। ১৯৪৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে ২০৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মার্টিন ডনেলি। ২০২১ সালে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে ওই একই মাঠে ২০০ রান করেন ডেভন কনওয়ে।
প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিতে সবচেয়ে বড় ইনিংসের রেকর্ডটি গত প্রায় ৬৬ বছর ধরেই স্যার গ্যারি সোবার্সের। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে জ্যামাইকায় অপরাজিত ৩৬৫ রানের বিখ্যাত ইনিংসটি খেলেন সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার বলে বিবেচিত এই ক্রিকেটার।
এছাড়া প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিকে ট্রিপল সেঞ্চুরিতে নিয়ে যেতে পেরেছেন অস্ট্রেলিয়ার ববি সিম্পসন (১৯৬৪ সালে ৩১১) ও ভারতের করুন নায়ার (৩০৩*)। ক্যারিয়ারে তৃতীয় টেস্টে ২০১৬ সালে ওই ইনিংসের পরের টেস্টেই আর জায়গা পাননি নায়ার। এরপর ক্যারিয়ারে খেলতে পেরেছেন আর কেবল তিন টেস্ট।
রবীন্দ্র এই ম্যাচ দিয়ে টেস্ট একাদশে ফেরেন দুই বছর পর। ক্যারিয়ারের প্রথম তিন টেস্টের ছয় ইনিংসে সাত ও আট নম্বরে ব্যাট করে তার মোট রান ছিল ৭৩। সর্বোচ্চ ছিল স্রেফ ১৮। এবার চার নম্বরে ব্যাট করার সুযোগ পান তিনি হেনরি নিকোলস বাদ পড়ায়।
সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে টেস্টের প্রথম দিনে অপরাজিত রয়ে যান তিনি ১১৮ রানে। দ্বিতীয় দিনে দ্বিতীয় সেশনে ডাবল সেঞ্চুরিতে পা রাখেন তিনি ৩৪০ বল খেলে।
সুযোগ কাজে লাগানোর ব্যাপারটি গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেও দারুণভাবে দেখান রবীন্দ্র। ওয়ানডে দলে তখনও তার জায়গা থিতু ছিল না। বিশ্বকাপের আগে ৮ ইনিংসের সবগুলিই খেলেছিলেন তিনি সাত ও ছয় নম্বরে। কেন উইলিয়ামসন চোটের কারণে খেলতে না পারায় বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তিনে নামার সুযোগ পান তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচেই খেলেন ৯৬ বলে অপরাজিত ১২৩ রানের অসাধারণ ইনিংস। বিশ্বকাপে পরে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ঝড়ো দুটি সেঞ্চুরি করেন তিনি, ফিফটি করেন ভারত ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।
এবার টেস্টেও জায়গা পাকা করার আয়োজন তিনি করে ফেললেন ফেরার পর প্রথম সুযোগেই।