অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটার মার্শ ও গার্ডনার
বছরজুড়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্যুতি ছড়ানোর স্বীকৃতি পেয়েছেন মিচেল মার্শ। দেশটির বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটারের পুরস্কার ‘অ্যালান বোর্ডার মেডেল’ জিতেছেন এই অলরাউন্ডার। মেয়েদের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাশলি গার্ডনার। এই অলরাউন্ডার জিতেছেন ‘বেলিন্ডা ক্লার্ক অ্যাওয়ার্ড।’
মেলবোর্নে বুধবার জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে ২০২৩ সালের সেরাদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। যেখানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘শেন ওয়ার্ন মেন’স টেস্ট প্লেয়ার অব দা ইয়ার’ জিতেছেন ন্যাথান লায়ন।
গত বছর টেস্টে সবচেয়ে বেশি ৪৭ উইকেট নেওয়া অস্ট্রেলিয়া তারকা অফ স্পিনার লায়ন এ নিয়ে দ্বিতীয়বার জিতলেন টেস্টের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার। প্রথমবার ২০১৯ সালে পেয়েছিলেন এই স্বীকৃতি।
বর্ষসেরা ক্রিকেটারের লড়াইয়ে মার্শের ধারেকাছেও ছিলেন না কেউ। ২২৩ পয়েন্ট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের পয়েন্ট ১৪৪।
এক দশকেরও বেশি সময় পর অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতলেন কোনো অলরাউন্ডার। সবশেষ ২০১১ সালে শেন ওয়াটসন পেয়েছিলেন এই স্বীকৃতি।
গত বছরের জুলাইয়ে অ্যাশেজ সিরিজের মাঝপথে ক্যামেরন গ্রিনের চোটে টেস্ট খেলার সুযোগ পান মার্শ। প্রায় চার বছর পর এই সংস্করণে খেলতে নেমে ব্যাট হাতে আলো ছড়ান তিনি। ফেরার ম্যাচ রাঙান দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে।
২০২৩ সালে টেস্টে ১০ ইনিংসে ব্যাটিং করে পাঁচটিতেই পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেন মার্শ। যেখানে ছিল এক সেঞ্চুরি ও দুটি নব্বই ছোঁয়া ইনিংস। ৬৭.৫০ গড়ে গত বছর টেস্টে তার রান ছিল ৫৪০। ৮ ইনিংসে বোলিং করে উইকেট নিয়েছিলেন ৪টি।
ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে ৮১ রানের ইনিংস খেলে ২০২৩ সাল শুরু মার্শের। এই সংস্করণে গেল বছর ২০টি ম্যাচ খেলেন তিনি। ৪৭.৬৬ গড়ে করেন ৮৫৮ রান, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সেঞ্চুরি করেন দুটি, ফিফটি পাঁচটি।
অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ বিশ্বকাপে জয়ে তার অবদান কম নয়। ভারতে অনুষ্ঠিত ওই বিশ্বকাপেই সেঞ্চুরি দুটি পান মার্শ। ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ১৭৭ রানের ইনিংস খেলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেন ১২১ রান।
পুরুষদের বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারও নির্বাচিত হয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
মেয়েদের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের লড়াইয়ে কাছাকাছিই ছিলেন গার্ডনার ও এলিস পেরি। তবে পেরিকে (১৩৪) ১৩ পয়েন্টে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এই পুরস্কারটি জিতে নিলেন গার্ডনার (১৪৭ ভোট), প্রথমটি জিতেছিলেন ২০২২ সালে।
অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার গার্ডনার গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ান মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেন। ৩০ ম্যাচে ১৯.৩৯ গড়ে তার শিকার ছিল ৫৬টি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে গার্ডনারের অসাধারণ পারফরম্যান্স এই পুরস্কার জয়ের পথে বড় ভূমিকা রেখেছে। ট্রেন্ট ব্রিজের ওই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ৮৯ রানে জয়ে ১৬৫ রানে ১২ উইকেট নেন তিনি, মেয়েদের টেস্ট ক্রিকেটে ম্যাচে যা দ্বিতীয় সেরা বোলিং।
মেয়েদের বর্ষসেরা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন পেরি। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে গত বছর ১০ ইনিংসে ৬৬.৭১ গড়ে পাঁচ ফিফটিতে ৪৬৭ রান করেন তিনি। আর টি-টোয়েন্টিতে ১৩ ইনিংসে ১৪৮.২৯ স্ট্রাইক রেটে করেন ৩৯০ রান।
ছেলেদের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন পেসার জেসন বেহরেনডর্ফ। ২০২৩ সালে ৫ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি ১৬.৫০ গড়ে।