বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এ দিন থেকেই কার্যকর হবে সিদ্ধান্তটি।
গত ১০ নভেম্বর এসএলসির সদস্যপদ স্থগিত করেছিল আইসিসি। এসএলসি প্রশাসনে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা।
আইসিসি জানিয়েছে, এরপর থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে তাদের বোর্ড। এখন আর সদস্যপদের কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করছে না এসএলসি, সে ব্যাপারে আইসিসির বোর্ড সন্তুষ্ট হয়েছে।
গত ২১ নভেম্বর আইসিসি বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যেতে পারবে শ্রীলঙ্কা। তবে ছেলেদের চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শ্রীলঙ্কা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়।
গত অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতায় আসর চলাকালীনই শ্রীলঙ্কার পুরো বোর্ডকে বরখাস্ত করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির ঘোষণা দিয়ে গেজেট জারি করেন তখনকার ক্রীড়া মন্ত্রী রোশান রানাসিংহে। কমিটির প্রধান করা হয় বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে।
তবে ওই গেজেট বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে এসএলসি সভাপতি শাম্মি সিলভার আবেদনের প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির কার্যক্রম দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেয় দেশটির আপিল আদালত। একই সঙ্গে আগের নির্বাচিত বোর্ডকে পুনর্বহাল করা হয়।
নভেম্বরের শেষ দিকে ক্রীড়া মন্ত্রী রানাসিংহেকে বরখাস্ত করেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। এতে এসএলসির নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পথও কিছুটা সুগম হয়।
শ্রীলঙ্কার মতো সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে ২০১৯ সালে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সদস্যপদ স্থগিত করেছিল আইসিসি। জিম্বাবুয়ের প্রেক্ষাপট অবশ্য ভিন্ন ছিল। সেখানে দেশের সব ক্রিকেট কার্যক্রম হুট করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।