ভারতের ভিসা না পেয়ে ইংল্যান্ডে ফিরে গেলেন শোয়েব বশির
ভারত সফরের ইংল্যান্ড দলের সবচেয়ে বড় চমক ছিলেন এই বাশির। স্রেফ ৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেই টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন ২০ বছর বয়সী এই অফ স্পিনার। ভারত সফরের আগে আবু ধাবিতে দলের প্রস্তুতি ক্যাম্পেও ছিলেন তিনি। কিন্তু দলের অন্যদের ভারতীয় ভিসা হয়ে গেলেও বাশিরের হয়নি। গত রোববার সতীর্থরা ভারতে যাওয়ার পর তিনি ভিসার অপেক্ষা করছিলেন দুবাইয়ে বসে। মঙ্গলবারের মধ্যে তিনি ভিসা পাবেন বলে আশা করছিল দল। তবে আরও তেরি হওয়ায় তাকে দেশেই ফেরত যেতে হয়েছে।
গত ১১ ডিসেম্বর দল ঘোষণার পরপরই সবার ভিসার আবেদন করা হয় একসঙ্গে। শুধু বাশিরের দেরি হওয়ার কারণটিও অনুমান করে নেওয়া যায় অনায়াসে। তার জন্ম সারেতে, ব্রিটিশ পাসপোর্টধারীও তিনি। তবে তার শেকড় যে পাকিস্তানে!
গত বছর অস্ট্রেলিয়ার ভারত সফরে ঠিক একই কারণে ভিসা পেতে দেরি হয়েছিল উসমান খাওয়াজার। তার জন্ম ইসলামাবাদে। ভিসা পেতে দেরি হওয়ায় পরে দলের সঙ্গে যোগ দেন এই ব্যাটসম্যান।
ভারত সফরের ইংল্যান্ড দলে থাকা তরুণ লেগ স্পিনার রেহান আহমেদও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। তবে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের ‘স্ট্যান্ড বাই’ তালিকায় থাকায় তার কাগজপত্র সংক্রান্ত জটিলতা তখনই এক দফায় সেরে নেওয়া হয়েছিল। এবার তাই তার ভিসা পেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি।
জটিলতা শেষে শিগগিরই তার ভিসা হয়ে যাবে বলে আশা করছে ইংল্যান্ড দল। তবে বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাওয়া হায়দরাবাদ টেস্টের বিবেচনায় তিনি নিশ্চিতভাবেই থাকতে পারছেন না।
এই টেস্টে অবশ্য এমনিতেই তার খেলার সম্ভাবনা ছিল না বললেই চলে। ইংল্যান্য যদি তিন স্পিনার নিয়েও মাঠে নামে, সেখানে অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার জ্যাক লিচের সঙ্গে জুটি গড়বেন এক টেস্ট খেলা লেগ স্পিনার রেহান, সঙ্গ অভিষেক হবে বাঁহাতি স্পিনার টম হার্টলির।
তবে ভিসার সমস্যায় তরুণ এক ক্রিকেটারকে ক্যারিয়ারের শুরুতেই এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা পড়তে হলো, তা মানতেই পারছেন না ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস।
“অধিনায়ক হিসেবে আমার জন্য এটি খুবই হতাশার। আমরা স্কোয়াড ঘোষণা করেছি মধ্য ডিসেম্বরের আগে। কিন্তু ব্যাশ (বাশির) এখানে আসার ভিসা এখনও পায়নি। ওর কারণেই আমার বেশি হতাশ লাগছে। ইংল্যান্ড টেস্ট দলে আসার পর তার প্রথম অভিজ্ঞতাই এমন কিছু হোক, তা চাইনি। ওর জন্য সত্যিই খারাপ লাগছে।”
“তবে এই অবস্থায় পড়ে যাওয়া প্রথম ক্রিকেটার সে নয়। আরও অনেকের সঙ্গেই খেলেছি, যাদের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি হতাশ যে, একজন ক্রিকেটারকে আমরা দলে নিয়েছি, কিন্তু সে আমাদের সঙ্গে নেই ভিসার সমস্যায়। বিশেষ করে এরকম তরুণ একজনের জন্য… ওর জন্য ভয়ঙ্কর খারাপ লাগছে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়া দুঃখজনক। তবে অনেকেই চেষ্টা করছে ওর হয়ে। এটা দুর্ভাগ্যজনক এবং ওর জন্য আমি হতাশ।”
৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে বাশিরের উইকেট কেবল ১০টি। তবে প্রতিভার ছাপ রেখেছেন বোলিংয়। ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার স্পিনার বাড়তি বাউন্স ও উইকেট থেকে বাড়দি কিছু আদায় করবেন ভেবে ভারত সফরের দলে তাকে রেখেছেন নির্বাচকরা। আবু ধাবিতে ১০ দিনের ক্যাম্পেও তিনি দারুণ বোলিং করেছেন বলে খবর সংবাদমাধ্যমের।