আইসিসির মাসসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ডিসেম্বর মাস সেরার সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পাওয়া বাকি দুজন হলেন তাসমানপাড়ের দুই দেশের খেলোয়াড়। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও ডানহাতি পেসার প্যাট কামিন্স এবং নিউজিল্যান্ডের ডানহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার গ্লেন ফিলিপস।
ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দুর্দান্ত ছিলেন তাইজুল। সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের জয়ে বড় ভূমিকা তাঁর।প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে ৪ উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে আরো ভয়ংকর রূপে দেখা যায় এই বাঁহাতি স্পিনারকে।
বাংলাদেশের ১৫০ রানের জয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ রানে ৬ উইকেট নেন তাইজুল। ম্যাচসেরাও হন তিনি।
মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে দল হারলেও তাইজুল দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫ উইকেট নেন। সিরিজসেরা হন তিনি।
২০২৩ সাল দুর্দান্ত কেটেছে অধিনায়ক কামিন্সের। বড় তিনটি সাফল্য এসেছে তার হাত ধরে। ভারতে নভেম্বরে সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের আগে জিতেছেন আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ইংল্যান্ডে অ্যাশেজ জয় করেছিলেন।
ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ে খুব বড় ভূমিকা রাখতে পারেননি কামিন্সে। নিয়েছিলেন মাত্র তিন উইকেট। কিন্তু বক্সিংডে ক্রিকেটে নিজেকে মেলে ধরেন দারুণভাবে। ৩১৭ রানে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে থাকা পাকিস্তানের এক সময় ১১০ রানে ২ উইকেট হারায়।
সেখান থেকে প্রথম তোপটা দাগান কামিন্স, সবমিলিয়ে ২৩৭ রানে পাকিস্তানকে অলআউট করে সিরিজ জিতে নেয় তার দল। শেষ টেস্টে দুই ইনিংসেই পাঁচটি করে উইকেট শিকার করেন। হোয়াইটওয়াশ হয় এশিয়ার দলটি। এ সিরিজ টেস্টে পয়েন্ট টেবিলে অস্ট্রেলিয়াকে শীর্ষে এনেছে।
নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস প্রধানত উইকেটকিপার ব্যাটার হিসেবেই পরিচিত। তবে বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে এসে পার্ট টাইম বোলিংয়ে বাজিমাত করেন। সিরিজের প্রথম টেস্টে পাঁচ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি মূল্যবান ৪২ রান করেন। তবে সিলেটের ওই ম্যাচে হেরে যায় ব্লাক ক্যাপসরা।
মিরপুরে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে এসে বাংলাদেশকে ১৭২ রানে অলআউট করতে ৩ উইকেট শিকার করেন। এরপর দলের চরম দুর্দশায় খেলেন ৭২ বলে ৮৭ রানের মহামূল্যবান ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ কিউইদের হাল ধরেন ফিলিপস। ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানো দলকে জিতিয়ে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন। দুই ম্যাচে তার অসাধারণ পারফরম্যান্স তাকে মাসসেরার কাতারে নিয়ে এসেছে।