শুরুর ধাক্কা সামলে বাংলাদেশকে ২৩০ রানের টার্গেট দিল ডাচরা
শনিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বিশ্বকাপের ২৮তম ম্যাচে ৩৩ বছর পর খেলতে নামে বাংলাদেশ। টসে জিতে নেদারল্যান্ডস ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিলেও শুরুটা মোটেও ভাল করতে পারেনি ডাচরা। দলীয় ৩ রানে, ৯ বলে ৩ রান করে তাসকিন আহমেদের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন ডাচ ওপেনার বিক্রমজিত। এরপরের ওভারে দলীয় ৪ রানে ম্যাক্স ও’ডাউডকে শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরান শরিফুল ইসলাম। ৪ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরিস্থিতি থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন ওয়েসলি বারেসি এবং কলিন অ্যাকারম্যান। জুটি জমলেও বিপদের কারণ হয়নি, ৫৯ রানের এই জুটি বিপদজনক হওয়ার আগেই ৪১ বলে ৪১ রান করে ওয়েসলি বারেসি দলীয় ৬৩ রানের মাথায় কাটার-মাস্টার মুস্তাফিজের শিকার হন। খানিক পর সাকিবের বলে সুইপের চেষ্টায় সহজ ক্যাচ দিয়ে মাত্র ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন অ্যাকারম্যানও। এক ওভার পর স্কট এডওয়ার্ডসকে দুবার আউটের সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের বলে গালিতে তীব্র গতিতে যাওয়া ক্যাচ নিতে পারেননি লিটন দাস, পরের বলে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে কিপার মুশফিকুর রহিম গ্লাভসে জমাতে পারেননি বল।
যার মাশুল স্বরূপ নেদারল্যান্ডস ২০০ রান পার করতে সক্ষম হয়। শূন্য রানে টানা দুবার জীবন পেয়ে এডওয়ার্ডস জমে যান ক্রিজে। বাস ডি লিডির সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে জুটিতে যোগ করেন ৪৪ রান। তাসকিন এসে বাড়তি বাউন্সে ডি লিডিকে ফেরালেও সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখটের সঙ্গে আরেক জুটি পেয়ে যান এই ডাচ অধিনায়ক। এডওয়ার্ডস-সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখটের জুটির রান তোলার গতি ধীর হলেও দলকে সম্মানজনক জায়গার দিকে নিয়ে যেতে থাকেন তারা। মোস্তাফিজের বলে এঙ্গেলব্রেখট ক্যাচ উঠালেও মেহেদী হাসান মিরাজ তা ছেড়ে দেন। ২৯ রানে জীবন পেয়েও বেশি দূর বাড়তে পারেনি, শেখ মেহেদীর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
তার আগে এডওয়ার্ডসের মূল্যবান উইকেট পেয়ে যান মোস্তাফিজ। ৮৯ বলে ৬৮ করে তিনি ফেরার পর ভাটার টান পড়ে ডাচদের ইনিংসে। শেষ দিকে লোগান ফন বিক ১৬ বলে ২৩ করলে কিছুটা লড়াইয়ের পুঁজি পায় ডাচরা। কিন্তু শেখ মেহেদীর করা শেষ ওভারে ১৭ রান না এলে তাদের লড়াইটা আরও সাদামাটা হতো।
টাইগার শিবিরের ৪ জন বলার নেন ২টি করে উইকেট যার মধ্যে অন্যতম মুস্তাফিজ, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান পায় একটি উইকেট।
স্কোর