ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২২ এর গ্রুপ এ তে আছে ইকুয়েডর, সেনেগাল, নেদারল্যান্ডস এবং স্বাগতিক কাতার। শক্তিমত্তার বিচারে নেদারল্যান্ডস কিছুটা এগিয়ে থাকলেও বাকী ৩টা দলই থাকবে প্রায় কাছাকাছি, তাই লড়াইটা হবে সেয়ানে-সেয়ানে।
ইকুয়েড়র:
লাতিন অঞ্চলের দেশ ইকুয়েডর বিশ্বকাপে এসেছে অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ এ নাম লেখানোর জন্য তারা টক্কর দিয়ে হারিয়ে এসেছে উরুগুয়ে, চিলি, পেরু, কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ের মতো হেভিওয়েট জায়ান্টদের। লাতিন অঞ্চলের তৃতীয় দল হিসেবেই বিশ্বকাপে অংশ নিতে চলছে তারা।
দলটির কোচ আর্জেন্টাইন গুস্তাভো আলফারো। দলটির স্টার প্লেয়ার- ব্রাইটনের ত্রয়ী এস্তুপিয়ান, সারমিয়েন্তো এবং কাইসেডো, সাথে ভেটেরান এনার ভ্যালেন্সিয়া। স্পটলাইটে থাকবে ভায়াদলিদের গঞ্জালো প্লাটা
কাতার:
স্বাগতিক কাতারের দলটি বেশ ব্যালেন্সড৷ স্প্যানিশ কোচ ফেলিক্স সানচেজ গত ৫ বছরে নিজ হাতে গড়ে তুলেছে দলটিকে। দলটির স্টার প্লেয়ার আলমোয়েজ আলী, আবদুলাজিজ হাতেম এবং হাসান আল হাইদোস। তবে স্পটলাইটে থাকবে দলটির সবথেকে বড় স্টার আকরাম আফিফ যে কিনা বর্তমান বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজ সাবেক শিষ্য।
সেনেগাল:
ইঞ্জুরি জর্জরিত হয়ে বেশখানিকটা ব্যাকফুটে চলে গেছে সেনেগাল। যদিও আগের দুটি দলের থেকে সেনেগাল অনেক বেশি তারকাসমৃদ্ধ। দলটির কোচের দায়িত্বে আছে সেনেগালেরই নিজস্ব প্রতিনিধি আলিও কেসি। গোলপোস্ট, ডিফেন্স, মিডফিল্ড, এট্যাক- ৩টি ভাগেই স্টার প্লেয়ারে ঠাসা দলটি। গোলকিপার হিসেবে থাকবে চেলসির এডুয়েদো মেন্ডি। ডিফেন্সে আছে চেলসির কুলিবালি, বেতিসের সাবালি, লাইপজিগের ডিয়ালো, মিলানের ফোদে বাল্লো’র মতো খেলোয়াড়।
মিডফিল্ড আরো সমৃদ্ধ, সেখানে আছে ফরেস্টের কৌয়াটে, এভারটনের ইদ্রিস গানা, লেস্টারের মেন্ডি, মোনাকোর দিয়াট্টা, মার্শেইয়ের গেয়ে’রা৷ স্টার এট্যাকার নিকোলা সার, বোলায়ে দিয়া, বাম্বা ডিয়েং, নিকোলাস জ্যাকসন। তবে আশার বিষয়টা হলো ইঞ্জুরিতে পড়লেও দলে থাকবেন সাদিও মানে।
নেদারল্যান্ডস:
এই গ্রুপের সবথেকে শক্তিশালী দলটি নেদারল্যান্ডস। অনেকে তাদেরকে দেখছে কাতার বিশ্বকাপের ডার্কহর্স হিসেবে। লুই ভন গ্যাল দলটাও সাজিয়েছেন সেভাবে। ডিফেন্সে আছে ৮টি বড় নাম- ভন ডাইক, ডি লিখট, ডিভ্রাই, আকে, ব্লিন্ড, মালাসিয়া, ফ্রিম্পফগ, টিম্বার। মিডের দায়িত্ব সামলাবে ফ্রেঙ্কি, ডি রুন, ডাম্ফ্রিস, ক্লাসেন, বারগুইস।
এট্যাকে লুক ডি ইয়াং এর সাথে থাকবে মেম্ফিস, গাকপো, বার্গউইন, জাভি সিমনস, নোয়া লং এরা। সব মিলিয়ে দারুণ একটা দল গঠন করেছে ডাচরা যারা আন্ডারডগ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতলেও জিততে পারে।