পাপনের মন্তব্যের কড়া জবাব তামিম ইকবালের
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়ে ধুয়াশায় রেখে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। যার ফলে প্রতিনিয়ত বোর্ড এবং তামিমের মুখোমুখি অবস্থান ফুটে উঠছে মিডিয়ায়। যা আবারো প্রমাণ করল আজ।
গত ২৭ জানুয়ারি ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের সাথে সিরিজ চলাকালীন টি-টোয়েন্টি থেকে ছয় মাসের বিরতি নিয়েছেন তামিম ইকবাল। তবে আগামী মাসে এই বিরতি শেষ হতে চললেও কুড়ি ওভারের ফরম্যাট নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোন কিছুই জানান নি এই ড্যাশিং ওপেনার।
গত রোববার (৫ জুন) একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তামিম ইকবাল। সেই অনুষ্ঠানে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ভবিষ্যত সম্পর্কে।
রোববার ওই অনুষ্ঠানে তামিম বলেছিলেন, ‘আমার ঘোষণা আমি দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না, অন্যরাই নানা কিছু বলে দিচ্ছে’। বিসিবি বস আজ (মঙ্গলবার) তামিমের এই অভিযোগকে মিথ্যা বলেছেন।
পাপনের এমন বক্তব্যে নিজের অবস্থান খোলাসা করেছেন তামিম ইকবাল। আজ দুপুরে তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে তিনি বলেন,
“বোর্ড থেকে কয়েকবারই আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে টি-টোয়েন্টি নিয়ে। আমি ৬ মাসের বিরতি নিয়েছি বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে। এরপরও বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে কয়েক দফায়। এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন আমি কখনোই তুলিনি।
আমি সেদিন অনুষ্ঠানে যা বলেছি, আজকে আবার বলছি, “টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমার যে প্ল্যান, সেটা তো আমাকে বলার সুযোগই দেওয়া হয় না। হয় আপনারা (মিডিয়া) বলে দেন, নয়তো অন্য কেউ বলে দেয়। তো এভাবেই চলতে থাকুক। আমাকে তো বলার সুযোগ দেওয়া হয় না। এতদিন ধরে আমি ক্রিকেট খেলি, এটা ডিজার্ভ করি যে আমি কী চিন্তা করি না করি, এটা আমার মুখ থেকে শোনা। কিন্তু হয় আপনারা কোনো ধারণা দিয়ে দেন, নয়তো অন্য কেউ এসে বলে দেয়। যখন বলেই দেয়, তখন আমার তো কিছু বলার নেই।”
এটুকুই বলেছিলাম। এখানে কি উল্লেখ আছে যে কেউ যোগাযোগ করেনি? এরকম কোনো শব্দ বা ইঙ্গিত আছে? খুবই সাধারণ ভাষায় বলেছি, আমার কথা আমাকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। ৬ মাসের বিরতি নিয়েছি, এর মধ্যেও মিডিয়া নানা কথা লিখে বা বলে যাচ্ছে, অন্যরাও কথা বলেই যাচ্ছেন।
বোর্ডের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নিয়মিতই আছে এবং তারা খুব ভালোভাবেই জানে, টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমার ভাবনা কোনটি। আমি স্রেফ নিজে সেই কথাটুকু বলতে চাই, সেই সময়টুকু চাই।
সময় হলে আমার সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই আমি জানাব। ৬ মাস হতে তো এখনও দেড় মাসের বেশি বাকি। কিন্তু সেই সময়টার অপেক্ষা কেউ করছে না। এটাই দুঃখজনক”।