চোটে জভেরেভের বিদায়, ফাইনালে নাদালের প্রতিপক্ষ রুড
রাফায়েল নাদালকে কেন লাল সুরকির কোর্টের (রোলাঁ গারো) ‘রাজা’ বলা হয়, তা আরো একবার প্রমাণ করে দেখালেন। এই টুর্নামেন্টটা আসলে তারই। হারতে হারতে যিনি জিতে যান বারবার।
নাদাল কি নিজেও ভেবেছিলেন ১৪তম ফ্রেঞ্চ ওপেন জিততে ফাইনালে উঠতে পারবেন? ভাববেনই বা কেন? সেমিতে তার প্রতিপক্ষ জার্মান তারকা আলেকজান্ডার জভেরেভ যেভাবে তার সাথে দাঁতে দাঁত চেপে যুদ্ধ করে গেছেন।
কিন্তু হায়, কি নিয়তি! চোটে পড়ে দ্বিতীয় সেটটাই শেষ করতে পারলেন না জভেরেভ। ওই যে, প্রকৃতি তার (নাদাল) হয়ে কথা বলে।
শুক্রবার রোলাঁ গারোতে প্রায় ৯০ মিনিট ধরে খেলে প্রথম সেট গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। সেখানে ৭-৬ গেমে জেতেন নাদাল। ঘড়ির কাটায় তিন ঘন্টা পার হয়ে তখন। দ্বিতীয় সেটও গড়ায় টাইব্রেকারে। সেটের ফল যখন ৬-৬,ঠিক সে সময় নাদালের একটি শট ফেরাতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ে গিয়ে চিৎকার করে ওঠেন জভেরেভ। ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও পারেননি।
ভাগ্য যে চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে থাকে সেটা আবারও রোলাঁ গারোতে প্রমাণ পাওয়া গেল! যখন নাদাল নিজে ব্যাকফুটে চলে যায় তখন প্রকৃতি তাকে ফ্রন্টফুটে পাঠিয়ে দেয়।
এদিকে জভেরেভ কাদঁতে কাদঁতে কোর্ট থেকে চলে গেলেন ড্রেসিং রুমে। কিছুক্ষণ বাদে কোর্টে ফিরলেন; তবে ক্র্যাচে বর দিয়ে। ততক্ষণে ওয়াকওভারে পেয়ে ১৪তম ফ্রেঞ্চ ওপেন শিরোপার হাতছোঁয়া দূরত্বে চলে এলেন নাদাল।
এর আগে ১৩ বার ফাইনালে উঠে প্রত্যেকবারই শিরোপা জিতেছেন নাদাল। এবারও সেই লক্ষ্যেই ৫ জুন (রোববার) ফাইনাল কোর্টে নামবেন তিনি। যেখানে তার প্রতিপক্ষ নরওয়ের ক্যাসপার রুড।
কোয়ার্টারেও বিশ্বের আরেক নাম্বার ওয়ান টেনিস তারকা জোকোভিচকে সোয়া চার ঘন্টার লড়াইয়ে হারিয়ে সেমিতে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন নাদাল।
অন্যদিকে, প্রথম সেমিফাইনালে দূর্ঘটনা বশত খেলা বেশি দূর না এগোলেও দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ছিলো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।মারিন সিলিস কে হারিয়ে ফরাসি ওপেনের ফাইনালে উঠলেন ক্যাসপার রুড।
নরওয়ের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে কোনও গ্রান্ড স্ল্যাম ফাইনালে উঠলেন ২৩ বছর বয়সী ক্যাসপার। ফাইনালে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদাল। ক্যাসপার রুড ৩-৬, ৬-৪, ৬-২ ও ৬-২ ব্যবধানে সিলিসকে হারান।