২৩ রানেই নেই ৪ উইকেট, পরাজয়ের শঙ্কায় বাংলাদেশ
ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫০৬ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। লিড নিয়েছে ১৪১ রানের। জবাব ব্যাট করতে নেমে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও একই দশা টাইগারদের। প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ, দ্বিতীয় ইনিংসেও স্কোর বোর্ডে ২৩ রান তুললেই টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটারকে হারায় মুমিনুল হকের দল।
মিরপুরে চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে স্কোর বোর্ডে ১৫ রান জমা হতেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল। ১১ বল মোকাবেলা করে রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি দেশ সেরা এই ওপেনার।
এরপর ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নামা শান্ত আউট হন অহেতুক রান আউটে। আসিথা ফার্নান্দোর বল পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে ঝুঁকিতে রান নিতে গিয়ে বিপদে পড়েন তিনি। ফলে ১১ বলে মাত্র ২ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
এমণ অবস্থায় দলনেতা মুমিনুল হক ফিরেন কট বিহাইন্ড হয়ে রানের খাতার খোলার আগেই। অফফর্ম থেকে বেরই হতে পারছেন না মুমিনুল। একের পর এক ইনিংসে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন তিনি। চলতি ঢাকা টেস্টে টাইগার টেস্ট অধিনায়ক প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৯, এবার আউট হলেন শূন্য রানে। ফলে এ নিয়ে টানা সাত ইনিংসে দশের নিচে আউট হলেন মুমিনুল। মুমিনুলের বিদায়ের পর সেই ধারবাহিকতায় ব্যক্তিগত ১৫ রানে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়।
২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ দল। এর আগে প্রথম ইনিংসে ধ্বংসস্তূপ থেকে বাংলাদেশকে টেনে তুলেছিলেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। এবারও তাদের কাঁধেই হার এড়ানোর গুরুদায়িত্ব। ২৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিন শেষ করেছেন তারা।
এর আগে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ও দিনেশ চান্দিমালের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভীষণ বিপদে ছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম দুই সেশন নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিয়েছিলেন এ দুই অভিজ্ঞ লঙ্কান ব্যাটার। সেখান থেকে শেষ সেশনে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগাররা। লঙ্কানদের শেষ ৫ উইকেট তারা তুলে নিয়েছে মাত্র ৪০ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে একাই ৫ উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান।