আড়াই মাস আগের কারাবাও কাপের স্মৃতি যেন পুনরাবৃত্তি করলো ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। ফেব্রুয়ারিতে কারাবাও কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল চেলসি-লিভারপুল। ওই ম্যাচেও টাইব্রেকার হয়েছিল এবং ১১টি করে শট নিতে হয়েছিল দুই দলকে। শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছিল লিভারপুল। এবার একই মাঠে এফএ কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হলো এই দুটি দলই। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও অমিমাংসিত থাকলো ফলাফল।
শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে জয় এনেছে লিভারপুলই। এবার ১১টি করে নয়, শট নিতে হয়েছে ৭টি করে। সপ্তম শটে গিয়ে সাডেন ডেথে গোল করলেন সিমিকাস। তার গোলের পরই শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে।
ম্যাচের শুরু থেকে দাপট দেখাচ্ছিল লিভারপুল। কিছুটা চাপে ছিল চেলসির রক্ষণ। বার বার আক্রমণে উঠেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি ইয়ুর্গেন ক্লপের ছেলেরা। কিন্তু ৩৩ মিনিটের মাথায় চোট পেয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান মহম্মদ সালাহ্। ফলে কিছুটা হলেও আক্রমণের গতি কমে রেড ডেভিলসদের। খেলায় ফেরে চেলসি।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় চেলসি। বেশ কয়েকটি ভাল সেভ করেন লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। ৮৩ ও ৮৪ মিনিটের মাথায় পর পর লিভারপুলের দিয়াজ ও রবার্টসনের শট পোস্টে লেগে ফেরে। নির্ধারিত সময়ের খেলা ০-০ ব্যবধানে শেষ হলে অতিরিক্ত সময় হয়। সেখানেও গোল আসেনি। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
ফলে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ফলাফল ছিল গোলশুন্য। পরে পেনাল্টি শুট আউটে ৬-৫ গোলে জিতে মৌসুমে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুললো লিভারপুল।