চট্টগ্রাম লিগে সুপার ফোরে পাইরেটসকে উড়িয়ে দারুন শুরু আবাহনীর
মুজিববর্ষ সিজেকেএস ইস্পাহানি প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার ফোরেও অপ্রতিরোধ্য চট্টগ্রাম আবাহনী। শেষ চারের প্রথম ম্যাচে পাইরেটস অব চিটাগংকে ১২০ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের দৌড়ে এগিয়ে আকাশী নীলরা। বল হাতে অনবদ্য আবাহনীর তৌহিদ।
শুক্রবার (১১মার্চ) নগরীর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম আবাহনী নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ১৫৭ রানে প্যাকেট বন্দী হয়ে যায় পাইরেটস অব চিটাগং।
ব্যাটিংয়ে আবাহনী মন্থর গতিতে শুরু করলেও আস্তে আস্তে খোলস ছেড়ে বেরুতে থাকে তারা। দলীয় ১০ রানে ওপেনার সাঞ্জু আউট হলেও শুয়েব ও ইমরান উইকেটে থিতু হয়ে রানের চাকা সচল রাখেন। আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ইমরানের ব্যাট থেকে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৮৭ বলে বসে ৭২ রান।
শেষদিকে পাইরেটসের বোলারদের তুলোধুনো করে ছাড়ে আবাহনী কাপ্তান রিপন, জীবন ও মোসাদ্দেকরা। রিপনের ঝড়ো ৩৯ বলে ৫৭, জীবনের ১১ বলে ২০ রান ও জাভেদের ৩৬ রানে ভর করে ২৭৬ রান তুলে চট্টল জায়ান্ট আবাহনী। বল হাতে পাইরেটসের ইফরান ৫৫ রানে নেন ৫ উইকেট।
আবাহনীর দেয়া লিগের সর্বোচ্চ ২৭৬ রান তাড়া করতে নেমে পাইরেটস অব চিটাগং শুরুতেই পেসার তৌহিদের গতিতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। দলীয় ৫৬ রান হতেই হারিয়ে ফেলে ৮ উইকেট। জাতীয় দলের নিয়মিত ওপেনার নাঈম শেখ ও ঝলক দেখাতে পারেনি এদিন।
দুই শতাধিক রানের ব্যাবধানে আবাহনীর ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা দেখা দিলেও খাদের কিনারা থেকে পাইরেটসকে টেনে তুলতে বৈঠা হাতে নেন রাজিব ও ইফরান। নবম উইকেটে ৮৬ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন তারা। দুইজনই পূর্ণ করেন অর্ধশতকের কোটা। দলীয় ১৪২ রানে তাদের সেই জুটি ভাঙ্গলেই শেষ পর্যন্ত ১৫৭ রানে গুটিয়ে যায় পাইরেটস। ৮ ওভারে ১৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন চট্টগ্রাম আবাহনীর তৌহিদ।