বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১০ রানে হারাল ফরচুন বরিশাল। প্রথম কোয়ালিফায়ারে আগে ব্যাট করতে মুনিম শাহরিয়ার ব্যাটে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। জবাবে মেহেদী-মুজিবদের বোলিং তোপে ১৩৩ রানে থামে ইমরুল কায়েসের দল।
মিরপুরে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করতে ফরচুন বরিশালের দুই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ও ক্রিস গেইল। উদ্বোধনী জুটিতে ৬.২ ওভারে দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান।
পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না পাওয়া কুমিল্লাকে প্রথম উইকেট এনে দেন শহিদুল ইসলাম। ১৯ বলে ২২ রান করে গেইল শহিদুলের বলে ক্যাচ তুলে সাজ ঘরে ফিরলে দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তের সাথে ২৬ রান যোগ করেন মুনিম।
এরপর ইনিংসের দশম ওভারে প্রথমে ৪৪ রান করে মুনির ও পরে ১ রান করে সাকিব আল হাসান বিদায় নিলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ফরচুন বরিশাল। ব্যক্তিগত ১৩ রানে নাজমুল হোসেন শান্ত ও ১০ রানে জিয়াউর রহমান সাজ ঘরে ফিরলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৪৩ রানে থামে সাকিবের বরিশাল। অন্যদিকে কুমিল্লার হয়ে ৩ টি উইকেট শিকার করেন শহিদুল ইসলাম।
জবাবে মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ধীরগতিতে করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দুই ওপেনার। উদ্বোধনী জুটিতে ১০.৪ ওভারে লিটন কুমার ও মাহমুদুল হাসান জয় মিলে গড়েন ৬২ রান। ৩০ বলে মাত্র ২০ রান করে জয় সাজ ঘরে ফিরলে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও তেমন সুবিধা করতে না পারায় ফেরেন মাত্র ৫ রান করে।
ওপেনার লিটনও ৩৫ বলে ৩৮ রান করে আউট হয়ে গেলে মাত্র ৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এরপর দলের হাল ধরতে চতুর্থ উইকেটে মইন আলীর সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়েন ফাফ ডু প্লেসি।
দুজনের ব্যাটে জয়ের লক্ষ্যে এগোতে থাকলে কুমিল্লা, ১৫ বলে ২২ রান করে মইন ও ১৫ বলে ২১ রান করা প্লেসিকে সাজ ফিরিয়ে আবার ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সাকিবের ফরচুন বরিশাল। এরপর বাকি সময় কুমিল্লার হয়ে সুনীল নারায়ণ একাই লড়াই করলেও শেষ ভরসা হয়নি তাদের।
নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানে থামে ইমরুল কায়েসের দল। অন্যদিকে কুমিল্লার হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন মুজিব, শফিকুল ও মেহেদী হাসান রানা।