আইসিসি টি-টোয়েন্টি বর্ষ সেরার দৌড়ে রিজওয়ান-হাসারাঙ্গা-মার্শ-বাটলার
ইতি টানতে যাচ্ছে আরো একটি বছর। বছরের শেষ মুহূর্তে আইসিসি উদ্যোগ নিয়েছে বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের পুরষ্কৃত করার। যার অংশ হিসেবে টেস্টের পর টি-টোয়েন্টির বর্ষ সেরার মনোনয়ন ঘোষণা করেছে আইসিসি।
বুধবার ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি নিজেদের ওয়েবসাইটে মনোনীত চার ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করেছে। বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের দৌড়ে থাকা এই চার ক্রিকেটার হলেন- মোহাম্মদ রিজওয়ান,জস বাটলার,ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও মিচেল মার্শ।
টি-টোয়েন্টির বর্ষসেরার দৌড়ে এগিয়ে আছেন পাকিস্তানের উইকেট কিপার ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। বছরটা স্বপ্নের মতো কেটেছে এই খেলোয়াড়ের। প্রথম ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক পঞ্জিকাবর্ষে এক হাজার রান করার কীর্তি গড়েন তিনি। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটের পেছনেও ছিলেন দারুণ কার্যকর। ২৯ ম্যাচে ৭৩.৬৬ গড় ও ১৩৪.৮৯ স্ট্রাইক রেটে ১৩২৬ রান। ডিসমিসাল ২৪ টি।
শ্রীলঙ্কান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা আছেন সেরার দৌড়ে। এই বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার হাসারাঙ্গা। এই সংস্করণে এরই মধ্যে নিজেকে সময়ের সেরা স্পিনারদের একজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। ব্যাট হাতেও বেশ পারদর্শী এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার। ২০ ম্যাচে ১১.৬৩ গড় ও ৫.৪৪ ইকোনমিতে ৩৬ উইকেট। ব্যাটিংয়ে এক ফিফটিতে ১৯৬ রান।
মনোনয়ন পাওয়া আরেক ক্রিকেটার হলেন, মিচেল মার্শ। এই অস্ট্রেলিয়ান এই বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক । ২০ ওভারের ক্রিকেটে তার নতুন রূপে যাত্রার শুরু বছরটাতেই। ২৭ ম্যাচে ৩৬.৮৮ গড়ে ৬২৭ রান। ১৮.৩৭ ইকোনমিতে উইকেট নিয়েছেন ৮ টি।
মনোনীত দুই উইকেট কিপার ব্যাটারের মধ্যে রিজওয়ানের সাথে আরেকজন হলেন ইংল্যান্ডের জস বাটলার। বছরের সবকটা সিরিজ জুড়ে ছিলো তার ব্যাটিং ঝাঁঝ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই কিপার-ব্যাটারের ব্যাটে ছুটেছে রানের ফোয়ারা। বাটলার ২০২১ সালে ১৪ টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। রান করেছেন ৬৫.৪৪ গড়ে ১৪৩.৩০ স্ট্রাইক রেটে ৫৮৯ রান। ডিসমিসাল ১৩ টি।
আইসিসি এক পঞ্জিকাবর্ষে ১৩ টি ক্যাটাগরিতে এই পুরষ্কার দিয়ে থাকে।