হতাশার হারে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
বিশ্বকাপ ব্যর্থতা সঙ্গী করে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামা বাংলাদেশ, প্রথম ম্যাচ শুরু করকো ৪ উইকেটের হতাশার হার দিয়ে।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় টাইগাররা। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা সাইফ হাসান ও ওপেনার নাঈম শেখ এর দ্রুত বিদায়ে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ১০ রানেই সাজ ঘরে ফিরেন দুই ওপেনার নাঈম ও সাইফ। এরপর বহুদিন ধরে দলে ডাক পাওয়া নাজমুল ইসলাম শান্ত ১৪ বলে ৭ রান করে আউট হলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ দল।
এই অবস্থায় চাপে পড়া দলের হাল ধরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। ৩৪ বলে ৩৬ করে আফিফ ও ২২ বলে ২৮ করে সোহানের বিদায়ে পর শেষ দিকে মাহাদী হাসান এর অপরাজিত ২০ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে টাইগাররা থামে ১২৭ রানে।
জবাবে ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো দুই বিশ্বমানের ব্যাটারকে হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে পাকিস্তান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মোস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে সাজ ঘরে ফিরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের বিদায়ের পর মাত্র ২৪ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা।
দ্রুত ৪ উইকেট হারানোর পর দেখে খেলতে থাকেন ফখর জামান ও খুশদিল শাহ। তবে উইকেটে সেট হয়ে রানের গতি বাড়িয়ে তোলেন ফখর জামান। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন খুশদিল শাহ। এরপর কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠা ফখর জামান তাসকিনের শিকার হয়ে সাজ ঘরে ফিরলে। সমান রানে খুশদিল ফিরলে ম্যাচ অনেকটাই বাংলাদেশের দিকে হেলে পড়ে। এ সময় পাকদের প্রয়োজন ছিল ৩২ রান, বল বাকী ছিল ১৯টি।
তবে শেষদিকে মোস্তাফিজ-শরিফুলের অনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বাংলাদেশের হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচটি ছিনিয়ে নেন শাদাব খান ও মোহাম্মদ নওয়াজ। দুজনে মিলে মাত্র ১৫ বলে গড়েন ৩৬ রানের বিধ্বংসী জুটি। এরপর ইনিংসে ৪ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখেই কষ্টার্জিত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে ২ টি উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ ও ১টি করে উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজ, মাহাদী ও শরিফুল।