ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৬ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ
আজ (২৭ অক্টোবর, সোমবার) বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়াম জুড়ে যেন টি–টোয়েন্টির উৎসব লেগেছিল। প্রায় গ্যালারিভর্তি দর্শক, প্রতিটি চার–ছক্কায় ছিল বাড়তি উচ্ছ্বাস।
উইকেটও ছিল রান করার জন্য দারুণ উপযোগী। কিন্তু সামনে যখন বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার, তাসের ঘরের মতো ভেঙে যাওয়া ক্ষণিকের ব্যপার মাত্র।
২ বল বাকি থাকতে ১৪৯ রানে শেষ বাংলাদেশের ব্যাটিং শক্তি! ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ১৬ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ম্যাচের ছকটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাজিয়েছিল যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তায়।
ওপেনাররা ধীরে শুরু করে গড়েছিলেন শক্ত ভিত। পরে রোভম্যান পাওয়েল আর শাই হোপ দলের রানটা জেতার মতো জায়গায় নিয়ে যান।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪৬ রান করেছেন শাই হোপ আর ৪৪ রান এসেছে পাওয়েলের ব্যাট থেকে। পরে তাঁদের নিখুঁত বোলিং ও ফিল্ডিং লিখে দিয়েছে ম্যাচের গল্প।
লক্ষ্যটা সহজ ছিল না টাইগারদের জন্য, কিন্তু ধরাছোঁয়ার বাইরেও নয়। বাংলাদেশের শুরুটা আসলে আরও ভালোই হয়েছিল।
কিন্তু তানজিদ হাসান ৫ বলে ১৫ রান করে শেফার্ডের দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরার পরই যেন সব এলোমেলো হয়ে গেল।
লিটন টি-টোয়েন্টিতে নিজের ফেরাটা রাঙাতে পারলেন না।
সাইফ হাসান এক ছক্কা মেরে ৭ বলে ৮ রান করে ফেরেন। জেসন হোল্ডারের বলে বোল্ড হয়ে যান শামীম হোসেন।
পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ৪২ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নুরুল হাসানও ফিরেছেন ১০ বলে ৫ রান করে।
শেষ ভরসা হিসেবে ছিলেন তাওহিদ হৃদয়।
তাঁর ২৮ বলে ২৫ রানের ইনিংস শেষ হয় জেডেন সিলসের বলে। তখন ৪৮ বলে দরকার ৮৯ রান।
তারপরই ইনিংসের আরেক রকম শুরু।
ম্যাচে প্রাণ ফেরান নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান। দুজনের জুটিতে ২৩ বলে আসে ৪০ রান।
তবে এই দুইজন শুধু আফসোস বাড়িয়ে শেষ দিকে ম্যাচটা এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন, যেখান থেকে ৪ ওভারে দরকার ছিল ৪৭ রান।
টি–টোয়েন্টিতে এই সমীকরণ তো মেলানোই যায়। হাতে উইকেট থাকলে চট্টগ্রামের উইকেটে তা সম্ভবও ছিল।
কিন্তু সে সম্ভাবনা যে শেষ করে দিয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরাই!


