আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে শ্রেয়াস আইয়ার
ভারতের ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার সিডনির এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে পাঁজরে আঘাত পেয়ে তার শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন আছেন বলে পিটিআই জানিয়েছে।
ম্যাচ চলাকালীন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে দৌড়ে গিয়ে অ্যালেক্স কেয়ারিকে আউট করতে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন আইয়ার।
কিন্তু বলটি হাতে নেওয়ার সময়ই তার বাম দিকের পাঁজরে আঘাত লাগে। ড্রেসিংরুমে ফেরার পর প্রচণ্ড অস্বস্তি বোধ করলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, পাঁজরের আঘাতের ফলে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ধরা পড়েছে তাই তাকে জরুরি ভিত্তিতে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
একটি সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছে,
‘শ্রেয়াস গত দুদিন ধরে আইসিইউতে আছেন। রিপোর্টে রক্তক্ষরণের বিষয়টি ধরা পড়ার পরই তাকে ভর্তি করতে হয়। এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল, তবে সংক্রমণ ঠেকাতে তাকে অন্তত দুই থেকে সাত দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।’
আইয়ার ড্রেসিংরুমে ফেরার পর তার শারীরিক অবস্থায় অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয় বিসিসিআইয়ের মেডিকেল টিম।
সূত্রটি আরও জানায়,
‘দলীয় ডাক্তার ও ফিজিও কোনো ঝুঁকি নেননি, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখন অবস্থা নিয়ন্ত্রণে, তবে ঘটনাটি মারাত্মক হতে পারত। ও খুব শক্ত মনের ছেলে, আশা করা যায় দ্রুত সেরে উঠবে।’
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, আইয়ার তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকবেন। কিন্তু এখন ধারণা করা হচ্ছে সেই সময় আরও বাড়তে পারে।
সূত্রটির ভাষায়,
‘অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার সেরে উঠতে আরও সময় লাগবে। এই মুহূর্তে সুনির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন, ঠিক কবে তিনি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন।’
সাম্প্রতিক সিরিজে ভারতের ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন শ্রেয়াস, শুভমান গিলের ডেপুটি হিসেবে অস্ট্রেলিয়া সফরে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন, যদিও সেটি জয়ে পরিণত হয়নি।
শেষ ওয়ানডেতে অবশ্য রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির জোড়া ইনিংসে ভারত ৯ উইকেটে জয় পায়, ফলে ব্যাটিংয়ের প্রয়োজনই হয়নি আইয়ারের।
গত এক বছরে চোট-আঘাতে আইয়ারের ক্যারিয়ার বারবার থমকে গেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে পিঠের ইনজুরিতে মাঝপথে ছিটকে পড়েন তিনি।
পরে ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি (এনসিএ) তাকে ফিট ঘোষণা করলেও তিনি ব্যথা অনুভব করায় রণজি ট্রফির একটি ম্যাচ খেলতে অস্বীকার করেন।
যা তার কেন্দ্রীয় চুক্তি হারানোর কারণ হয়।
এরপর অস্ত্রোপচার করে কয়েক মাস মাঠের বাইরে থেকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পর আবারও ওয়ানডে দলে ফিরে আসেন তিনি।
তবে সম্প্রতি পিঠের পুরনো ব্যথা ও টান ফিরে আসে, যা নিয়ে বিসিসিআইকে অবহিত করেন। সেই কারণে লাল বলের ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের বিরতি চান তিনি।


