শেষ বিকেলে সেই চিরচেনা বাংলাদেশ, ৫০০ রানের হাতছানি
গল টেস্টে টাইগারদের সামনে ৫০০ রানের হাতছানি। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তবে লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে আরো একবার বড় জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দল পেয়েছে বড় সংগ্রহ।
তবে তাদের বিদায়ের পর লোয়ার মিডল অর্ডারে সেই চিরচেনা বাংলাদেশের আবির্ভাব। শেষ বিকেলে ৫ উইকেট হারিয়েছে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ফলে দিনের শেষটায় ভক্তদের কিছুটা হলেও হতাশ করেছে টাইগাররা।
দারুণ ইনিংসটা শেষ দিকে এসে যেন কেমন হয়ে গেল! গলে বৃষ্টির পর খেলতে নেমে ৬১ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৮৪ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ।
গল টেস্টে প্রথম দিনে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ।
টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত থেমেছেন শুরুতেই। ২৭৯ বলে ১৪৮ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে বিদায় নেন শান্ত। ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগ থাকলেও তা মিস হয়েছে।
এরপর মুশফিকুর রহিমের সাথে জুটি বাঁধেন লিটন দাস। ক্রিজে দারুণভাবে জমে যান দুজন। মুশফিক এগিয়েছেন সাবলীল ব্যাটিংয়ে।
লিটন ব্যাট চালিয়েছেন ওয়ানডে মেজাজে। ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন লিটন। মুশফিক পার করেন ১৫০।
চা বিরতির ঠিক আগে নামে ঝুম বৃষ্টি। ৪ উইকেটে ৪২৩ রান তোলে বাংলাদেশ, এরপরই বৃষ্টির আগমন। পরে চা বিরতিতে যায় দুই দল।
কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থামলে বাংলাদেশ সময় বেলা ৪টা ৪৫ মিনিটে খেলা শুরু হয়েছে।
বৃষ্টি এবং চা বিরতির পরে ক্রিজে নেমেও দারুণ ছন্দে ছিলেন লিটন এবং মুশফিক। দেড়শ পেরিয়ে মুশফিক ছুটছিলেন ২০০ রানের দিকে। তবে ২০০ এর আগেই থেমেছেন তিনি।
দলের ৪৫৮ রানের মাথায় ৩৫০ বলে ১৬৩ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন মুশফিক।
পরের ওভারেই ফিরেছেন লিটন দাস। সেঞ্চুরির আগে নার্ভাস নাইনটিজে কাটা পড়েন লিটন। ১২৩ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি।
লিটনের বিদায়ের পর ক্রিজে জুটি বাঁধেন জাকের আলী অনিক এবং নাঈম হাসান। বেশিক্ষণ টেকেননি দুজন। ১৬ বলে ৮ রান করে বিদায় নেন জাকের। নাঈম খেলেন ৩০ বলে ১১ রানের ইনিংস।
শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ১৫১ ওভারে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। ক্রিজে টিকে আছেন নাহিদ রানা এবং হাসান মাহমুদ।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন আসিথা ফার্নান্দো, মিলান রাথনায়েকে এবং থারিন্ডু রাথনায়েকে।