উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনালে এমবাপ্পের গোল বিতর্ক
উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে স্পেনকে ১-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ফ্রান্স। প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপ, ইউরো ও নেশন্স লিগ-তিনটিই জয়ের কীর্তি গড়ল ফ্রান্স।
রবিবার ইতালির সান সিরোয় স্পেনের বিপক্ষে নেশনস লিগের ফাইনালেও পিছিয়ে পড়েছিল ফ্রান্স। কিন্তু সেই বেলজিয়াম ম্যাচের মতোই আরেকটি ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখে ২-১ গোলের জয়ে নেশনস লিগ জিতেছে দিদিয়ের দেশমের দল। ম্যাচের ৮০ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন কিলিয়ান এমবাপে।
ম্যাচের প্রথমার্ধে দুর্দান্ত খেলা দুই দল গোলের দেখা না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই স্প্যানিশ মিকেল ওয়ারযাবালের গোলে এগিয়ে যায় স্পেন।তার দেওয়া গোল হজমের মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে দারুণ এক গোলে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান করিম বেনজেমা। এমবাপ্পের পাস থেকে বল নিয়ে দুর্দান্ত এক বুলেট গতির শটে স্পেনের গোলপোস্টের ডান কর্নার খুঁজে নেন রিয়াল মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড। ঝাপিয়েও গোল রক্ষা করতে পারেননি স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমোন।
৮০তম মিনিটে এমবাপের গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। হার্নান্দেজ থেকে পাওয়া বল পেয়ে ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে ডি-বক্স থেকে প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে নেন পিএসজির এই ফরোয়ার্ড। তবে গোলটি অফসাইড হয়েছে বলে দাবি করে স্পেন। কিন্তু রেফারি এটি সঠিক বলে সিদ্ধান্ত দেয়। ৮৯তম মিনিটে কর্নার কিক থেকে আসা বল সুন্দর এক ভলিতে জালে ভেড়াবার চেষ্টা করলেও হুগো লরিসের দৃঢ়তায় রক্ষা পায় ফ্রান্স। গোটা ম্যাচে স্প্যান ৬২৬ টি পাস এবং ৬৪ শতাংশ বল দখলে রেখেও ৩৫৩ টি পাস নিয়ে ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে প্রথমবারের মতো নেশন্স লিগ শিরোপার স্বাদ পায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এক অ্যাসিস্ট ও এক গোল করে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড বেনজেমা।
তবে এমবাপ্পের গোল নিয়ে উঠেছে বিতর্কের ঝড়। স্প্যানিশদের দাবি, অফসাইডে ছিলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। রেফারিকে গোল বাতিলের অনুরোধও জানান সার্জিও বুসকেটস-সিজার আজপিলিকুয়েতারা।
টিভি রিপ্লেতেও দেখা যায়, থিও হার্নান্দেজ এমবাপ্পের উদ্দেশ্যে বল বাড়ানোর সময় অফসাইডে ছিলেন তিনি। তাহলে কেন বাতিল করা হলো না সেই গোল?
ম্যাচ শেষে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন রেফারি অ্যান্থনি টেলর। ৪২ বছর বয়সী ইংলিশ রেফারি স্পেনের অধিনায়ক বুসকেটসকে জানিয়েছেন, এমবাপ্পে বল রিসিভ করার আগে ছোঁয়া লাগিয়েছিলেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়া। ফুটবলের নতুন নিয়মে এটা অফসাইড নয়।
২০১৯ সালে উয়েফা নেশন্স লিগের প্রথম আসরের শিরোপা জিতেছিল পর্তুগাল।