খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

শুক্রবার, ১৪ই মার্চ ২০২৫

পেনাল্টি মিস, টাইব্রেকার আর নাটকীয়তা শেষে কোয়ার্টারে রিয়াল

ম্যাচ শেষ। পেনাল্টি মিস, টাইব্রেকার আর নাটকীয়তা শেষে কোয়ার্টারে রিয়াল মাদ্রিদ। অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের ঘরের মাঠ মেট্রোপলিতানো স্টেডিয়ামে মন ভার জড়ো হওয়া দর্শকদের। রিয়ালের কাছে খুব কাছ থেকে হেরে গিয়েছে দল।

কিন্তু এরইমাঝে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের কোচ ডিয়েগো সিমিওনে দর্শকদের তাঁতিয়ে দিতে চাইলেন। দুই লেগ মিলিয়ে তার দল যে ফুটবল উপহার দিয়েছে, সেটারই অভিবাদন যেন পেতে চাইলেন এই আর্জেন্টাইন কোচ।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে রিয়ালের কাছে অ্যাতলেটিকোর বিদায় নতুন কিছু না। দুইবার তো ফাইনালেই হেরেছে তারা। তবে মেট্রোপলিতানো স্টেডিয়ামের হারটা একটু আলাদাভাবেই হয়ত পোড়াবে অ্যাতলেটিকো ভক্তদের। হুলিয়ান আলভারেজের পেনাল্টি যেভাবে বাতিল হয়েছে কিংবা অ্যান্তোনি রুদিগারের শট ইয়ান ওবলাকের হাতে লেগেও জালে জড়ানো; অ্যাতলেটিকোর আক্ষেপ হতেই পারে।

পেনাল্টি মিস, টাইব্রেকার আর নাটকীয়তা শেষে কোয়ার্টারে রিয়াল

তবে রিয়াল মাদ্রিদও ছেড়ে কথা বলেনি। প্রতিপক্ষের মাঠে মাত্র ২৭ সেকেন্ডে গোল হজমের পর লড়েছে ১২০ মিনিটের পুরোটা জুড়ে। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পেনাল্টি মিস করে যাওয়ার পরেও নিজেদের নার্ভ ধরে রেখেছে। ম্যাচটা ঠিকই জিতে ফিরেছে টাইব্রেকারের নাটকীয়তায়।

নির্ধারিত সময়ের খেলায় রিয়ালকে অ্যাতলেটিকো ১-০ গোলে হারালেও দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচ সমতায় ছিল ২-২ গোলে। শেষ পর্যন্ত জয়টা রিয়াল পেয়েছে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলের ব্যবধানে। টাইব্রেকারে কিলিয়ান এমবাপ্পে, জুড বেলিংহাম, ফেদেরিকো ভালভের্দে এবং আন্তোনিও রুদিগার লক্ষ্যভেদ করলেও মিস করেছেন লুকাস ভাসকেজ।

অন্য দিকে আতলেতিকোর হয়ে আলেক্সান্দার সোরলথ, আনহেল কোরয়ো গোল করলেও মিস করেছেন আলভারজে ও মার্কোস লরেন্তে।

আলভারেজ অবশ্য বল জালে জড়িয়েছিলেন। একেবারে ‘টপ অভ দ্য নেট’ যাকে বলে তেমনই এক পেনাল্টি ছিল তার। কিন্তু ভিএআর বদলে দেয় সেটি।

ডান পায়ে শট নেওয়ার আগ মুহূর্তে খানিকটা নিয়ন্ত্রণ হারান আর্জেন্টাইন তারকা, এর ফলে তাঁর বাঁ পাও লেগে যায় বলে। আর ‘ডাবল টাচ’ হওয়ায় বল জালে জড়ালেও বাতিল হয় সেই গোল।

 

ম্যাচের শুরুটা অবশ্য একান্তই অ্যাতলেটিকোর। প্রথম লেগের লিড হারাতে এক মিনিটও লাগেনি রিয়ালের। মাত্র ২৭ সেকেন্ডে দারুণ এক আক্রমণ থেকে গোল করেন কনর গ্যালাগার। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি আতলেতিকোর সবচেয়ে দ্রুততম গোল।

এই গোলের পরই শুরু হয় উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচ। রিয়াল তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ করেছে। কাউন্টার প্রেসিং থেকে অ্যাতলেটিকোও বের করে দিয়েছে নিজেদের সবটা।

তবে রিয়াল মাদ্রিদ খেই হারাচ্ছিল অ্যাতলেটিকো বক্সের কাছে। ডি বক্সের বাইরে রিয়াল যতটা আগ্রাসী ছিল, ডি-বক্সে ছিল ততটাই হতাশার। এরইমাঝে অ্যাতলেটিকো অবশ্য দারুণ দুই সুযোগ পেয়েছিল অ্যাগ্রিগেটে এগিয়ে যাবার।

২৫ মিনিটে দুর্দান্ত গোলকিপিংয়ে রিয়ালকে বাঁচান থিবো কোর্তোয়া। ৩৫ মিনিটে আরও একবার গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল অ্যাতলেটিকো। তবে এবারও অল্পের জন্য হতাশ হতে হয় স্বাগতিকদের। একটু পর ফের আলভারেজকে হতাশ করেন কোর্তোয়া।

পেনাল্টি মিস, টাইব্রেকার আর নাটকীয়তা শেষে কোয়ার্টারে রিয়াল

৬৮ মিনিটে রিয়ালের সামনে চলে আসে ম্যাচের অন্যতম সেরা সুযোগ। দারুণ গতিতে অ্যাতলেটিকোর দুই ডিফেন্ডারকে ছিটকে ফেলেন কিলিয়ান এমবাপে। এরপরেই তাকে ফাউল করতে বাধ্য হন ক্লেমেন্ত লংলে। পেনাল্টি পেয়ে যায় মাদ্রিদ। যদিও সেটা মিসই করে বসেন ভিনিসিয়ুস।

ম্যাচের বাকি সময়টা আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে পার হলেও গোল পাওয়া হয়নি কারোরই। ৯০ মিনিট আর ১২০ মিনিটের খেলা শেষেও অ্যাগ্রিগেট ছিল ২-২। সেখান থেকে টাইব্রেকে রিয়াল পেয়েছে মনে রাখার মতো এক জয়।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy