পাকিস্তানের স্পিনে ঝাঁজরা ক্যারিবিয়ানরা! ইতিহাসের স্বাক্ষী মুলতান স্টেডিয়াম
দীর্ঘ ১৮ বছর পর পাকিস্তান সফরে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুলতানের স্পিন স্বর্গে দাপট দেখালেন স্বাগতিক দল। পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচের আড়াই দিনেই সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডজকে উড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম টেস্টের নজির গড়লো পাকিস্তান। মুলতানে সব মিলিয়ে মাত্র ১০৬৪ বল খেলা হয়েছে, যার মধ্যে আবার ৪০ উইকেটও পড়েছে! নিজেদের মাটিতে এর চেয়ে সংক্ষিপ্ত টেস্ট আর দেখেনি পাকিস্তান। সংক্ষিপ্ত হলেও স্বাগতিকরা মাঠ ছেড়েছে ১২৭ রানের বড় জয় নিয়ে।
পাকিস্তানের স্পিন অ্যাটাকের সামনে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুব বেশিক্ষণ থিতু হতে পারবে না, তার ইঙ্গিত মিলেছিল প্রথম ইনিংসেই। সেবার ৫ উইকেট নেন নোমান আলী।
তবে প্রথম চারটি উইকেট ছিল সাজিদ খানের। দ্বিতীয় ইনিংসে দাপট দেখান এই অফ স্পিনার। মাত্র ৫০ রানে শিকার করেন ৫ উইকেট। সবমিলিয়ে ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তিনি।
২৫১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১২৩ রানেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অ্যালিক অ্যাথানেজ ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন তিনি। সাজিদ বাদে পাকিস্তানের হয়ে চারটি উইকেট নেন আবরার আহমেদ ও বাকি একটি যায় নোমানের ঝুলিতে।
অথচ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১০৯ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল পাকিস্তান। লাঞ্চের আগে একে একে ১২ উইকেটের পতন দেখা যায়। জোমেল ওয়ারিক্যানের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের সামনে ১৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। কেবল ৩২ রানে ৭ উইকেট নেন ওয়ারিক্যান।
প্রথম সেশন যখন শেষ হয়, তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থা ৫ উইকেটে ৫০ রান। এরপর পাকিস্তানের জয় কেবল সময়ের ব্যাপার ছিল মাত্র। আর সেটাই হলো। এ নিয়ে দুই ইনিংসের সবগুলো উইকেটই পাকিস্তানের স্পিনারদের দখলে গেল।
সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্টও মুলতানেই হবে। ম্যাচটি শুরু হবে আগামী ২৫ জানুয়ারি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ২৩০ ও ১৫৭ (মাসুদ ৫২, হুরায়রা ২৯; ওয়ারিক্যান ৭/৩২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৩৭ ও ১২৩ (অ্যাথানেজ ৫৫, ইমলাচ ১৪; সাজিদ ৫/৫০, আবরার ৪/২৭, নোমান ১/৪২)
ফল: পাকিস্তান ১২৭ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: সাজিদ খান (৪/৬৫ ও ৫/৫০)।
সিরিজ: দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে পাকিস্তান।