কিংস ক্লার্কের শতক ‘দইজ্জার কুলত’ টাইগার্সদের বিড়াল বানিয়ে ছাড়লো।
হোমগ্রাউন্ডে খুলনাকে যেন খেলনার টাইগার্সই ভেবে নিয়েছিলো চিটাগং কিংস! বিধ্বংসী এই ম্যাচে খুলনাকে হারিয়ে মাত্র ৫ ম্যাচ খেলেই বরিশালকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আসন গেড়ে বসেছে কিংসরা।
বিপিএলে খুলনা টাইগার্সকে ৪৫ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম কিংস। আগে ব্যাট করতে নেমে গ্রাহাম ক্লার্কের সেঞ্চুরিতে ২০০ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে খুলনার হয়ে কোনো ব্যাটারই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন রাসুলি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৫৫ রানে থামে খুলনা।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৮ রানে উসমান খানকে হারায় চিটাগং। তিনে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্ক। পারভেজ হোসেন ইমনের সাথে তার ১২৮ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভীত পায় চিটাগং। ইমন ২৯ বলে ৩৯ রান করে বিদায় নিলে আর কেউ তেমন সঙ্গ দিতে পারেননি ক্লার্ককে। তবে একাই দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে ৫০ বলে ১০১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল দুর্দান্ত সাতটি চার ও ছয়টি ছক্কার মার।
ইরশাদের শিকার হয়ে ক্লার্ক বিদায় নিলে আর কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০০ রানের পুঁজি পায় চিটাগং কিংস। খুলনার হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন সালমান ইরশাদ ও মোহাম্মদ নওয়াজ।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ওপেনার ডম সিবলিকে হারায় খুলনা। এরপর খুলনার কাপ্তান মিরাজ ঝড় তোলার চেষ্টা করলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। তিনটি চার ও এক ছক্কায় ৮ বলে ১৯ রানের ইনিংসেই ফেরেন সাঝঘরে। তারপরই ফেরেন আরেক ওপেনার নাঈম শেখও। ১৫ বলে ২০ রান করেন আফিফ। বিপিএলে নিজের অভিষেক ম্যাচকে রাঙাতে পারেননি মাহফুজুর রহমান রাব্বিও। একপর্যায়ে ৭১ রানে ৫ উইকেটে হারিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে টাইগার্সদের।
এরপর রাসুলি ও নওয়াজের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে খুলনা। তবে দুইজনের দ্রুত বিদায়ে শেষ হয়ে যায় খুলনার শেষ ভরসাও। ৩১ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ৩৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন রাসুলি, নওয়াজের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৫৫ রানে থামে খুলনা টাইগার্স। চিটাগং এর হয়ে তিন উইকেট শিকার করেন আরাফাত সানি।