খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

বৃহস্পতিবার, ৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কিংসদের তুফানে উড়ে গেলো ক্যাপিটালস! পরাজয়ের দরদ বাড়ছেই

টানা ৫ ম্যাচেই কুপোকাত ঢাকা ক্যাপিটালস।

সাব্বির রহমানের ফর্মে ফেরার দিনও জয়টা অধরাই রয়ে গেলো ঢাকা ক্যাপিটালস এর। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের ৭ উইকেটে হারিয়ে দিলো চিটাগং কিংস। আগে ব্যাট করে ঢাকার করা ১৭৭ রান খুব সহজেই দুর্দান্তভাবে পেরিয়ে গেছে চিটাগং কিংস।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চিটাগং কিংস। আগে ব্যাট করতে নামা ঢাকার উদ্বোধনী জুটিটা থেমেছে ৩ রানের মাথায়। ৪ বলে ১ রান করে আউট হন জেসন রয়। এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন তানজিদ। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলের ইনিংসকে প্রায় একাই টেনে যাচ্ছিলেন। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে এসেছে ৪১ রান।

পাওয়ার প্লে’র শেষে স্টিফেন এসকিনাজি এবং শাহাদাত হোসেন দিপুর উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা। এরপর ক্রিজে আগমন দিনের নায়ক সাব্বির রহমানের। এদিন যেন নিজের আসল রূপে দেখা দিলেন তিনি। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে চিটাগংয়ের বোলিং ইউনিটকে চুরমার করে দিয়ে ছুটলেন তুফানের গতিতে। চরম মারমুখি ব্যাটিংয়ে ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন সাব্বির। ফিফটির পরেও এগিয়েছেন দোর্দন্ড প্রতাপে। চিটাগংয়ের কোনো বোলার পাত্তাই পেলোনা তার কাছে। বাউন্ডারির ফুলঝুরি ছুটিয়ে রান তুলতে থাকেন সাব্বির রহমান। এক পাশে প্রায় দর্শক বনে যাওয়া তানজিদ পরে ফিফটি ছুঁয়েছেন। বিদায় নেন ৪৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে।

দারুণ খেলতে থাকা সাব্বির টিকে ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ঢাকার ব্যাটিংয়ের হাইলাইটস যেন ছিলেন এই সাব্বিরই। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান তুলতে সক্ষম হয় ঢাকা। সাব্বির ৩৩ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। আরেক প্রান্তে ফারমানউল্লাহ ৯ বলে ১০ রান করে টিকে ছিলেন।

 

চিটাগংয়ের হয়ে ৩ উইকেট নেন খালেদ আহমেদ। ১টি করে উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ ওয়াসিম এবং আলিস আল ইসলাম। জবাব দিতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছে চিটাগং। দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন এবং উসমান খান এগিয়েছেন দারুণ সাবলীল ব্যাটিংয়ে। ইমন কিছুটা ধরে খেলেলেও উসমান ছিলেন মারমুখি। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে’র ফায়দা লুটেছেন উসমান। ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৫ রান তোলে চিটাগং। পাওয়ার প্লে শেষেই ১৬ বলে ১৭ রান করে আউট হন ইমন। উসমান অবশ্য ফিফটি তুলেছেন। দলের ১০৬ রানের মাথায় আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ে ৩৩ বলে ৫৫ রান করেছেন উসমান। ব্যাট হাতে সাবলীল ছিলেন তিনে নামা গ্রাহাম ক্লার্ক। দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। রানতাড়াতে কক্ষপথেই ছিল চিটাগং।

দলের ১৪৪ রানের মাথায় ৩২ বলে ৩৯ রান করে থেমেছেন ক্লার্ক। তবুও খুব একটা বিপদ হয়নি কিংসদের। মিঠুনের সাথে শেষ দিকে যোগ দিয়েছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে দলের ইনিংসকে টেনেছে শামীম। চিটাগংও পেতে থাকে জয়ের সুবাস। শেষমেশ মিঠুন এবং শামীমের জুটিতেই জয়ের বন্দরে চলে যায় চিটাগং কিংস। ৩ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় তারা। ২২ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন মিঠুন। অন্যদিকে শামীম টিকে ছিলেন ১৪ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে। ঢাকার হয়ে ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন ফারমানউল্লাহ, মুস্তাফিজুর রহমান এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

 

এই নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ হারলো ঢাকা ক্যাপিটালস।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy