প্রতিপক্ষ বোলারদের চার-ছয়ের নামতা শেখালেন সাব্বির!
ঢাকা ক্যাপিটালস বনাম চিটাগং কিংস এর ম্যাচ যেনো সাব্বির রহমানের ফর্মে ফেরার দিন।
সাব্বির রহমান এর সমর্থকদের আনন্দে আটখানা হওয়ার দিন আজ। চরম আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে যে প্রতিপক্ষ বোলারদের রীতিমতো চার-ছয়ের নামতা শেখালেন সাব্বির! এমন মারমুখী ব্যাটিং -এর ঝলকানিতে ভক্তদের বহুদিনের আক্ষেপ ঘোচালেন তিনি।
বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৭৭ রানের পুঁজি তুলেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। ৯ ছক্কা ৩ চারে ৩৩ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেছেন সাব্বির।
ঢাকার হয়ে দুই অঙ্কের রান পেয়েছেন কেবল তানজিদ হাসান তামিম, সাব্বির রহমান এবং ফারমানউল্লাহ। শুরুতেই মাত্র ৩ রানের মাথায় থেমে যায় উদ্বোধনী জুটি। ৪ বলে ১ রান করে আউট হন জেসন রয়।
এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন তানজিদ হাসান তামিম। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলের ইনিংসকে তিনি একা টানলেও বাকিরা তেমন সুবিধা করতে পারেননি।
পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪১ রান সংগ্রহ করে ঢাকা।
পাওয়ার প্লে শেষে স্টিফেন এসকিনাজি এবং শাহাদাত হোসেন দিপুর উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা। এরপর ক্রিজে আগমন দিনের নায়ক সাব্বির রহমানের। এদিন যেন নিজের আসল রূপে দেখা দিলেন সাব্বির।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে চিটাগংয়ের বোলিং ইউনিটকে চুরমার করে দিয়ে ছুটছিলেন তিনি। চরম মারমুখি ব্যাটিংয়ে বোলারদের চার-ছয়ের নামতা শেখাতে শেখাতেই দলের বোর্ডে তুলতে থাকেন রান।ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন সাব্বির।
ফিফটির পরেও এগিয়েছেন দোর্দন্ড প্রতাপে। চিটাগংয়ের কোনো বোলারই পাত্তা পায়নি তার কাছে। বাউন্ডারির ফুলঝুরি ছুটিয়ে রান তুলতে থাকেন সাব্বির রহমান।
এক পাশে প্রায় দর্শক বনে যাওয়া তানজিদ পরে ফিফটি ছুঁয়েছেন। বিদায় নেন ৪৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে।
সাব্বির টিকে ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ঢাকার ব্যাটিংয়ের হাইলাইটস যেন ছিলেন এই সাব্বিরই। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান তুলতে সক্ষম হয় ঢাকা।
সাব্বির ৩৩ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। আরেক প্রান্তে ফারমানউল্লাহ ৯ বলে ১০ রান করে টিকে ছিলেন।
চিটাগংয়ের হয়ে ৩ উইকেট নেন খালেদ আহমেদ। ১টি করে উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ ওয়াসিম এবং আলিস আল ইসলাম।