নাটকীয় ম্যাচে ভরাডুবির পর মেজাজ হারালেন খান সাহেব!
ফরচুন বরিশাল বনাম রংপুর রাইডার্স এর ম্যাচে হারের পর মেজাজ হারিয়েছেন তামিম ইকবাল খান।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে রংপুর রাইডার্স এর কাছে ৩ উইকেটে অবিশ্বাস্য হারের পর মেজাজ হারাতে দেখা যায় ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান কে। ঠিক কি কারণে তিনি নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি তা জানা না গেলেও, বিষয়টিকে স্বাভাবিক বলছেন বরিশালের ব্যাটিং কোচ নাফিস ইকবাল।
ম্যাচ শেষে তামিমকে রংপুরের ড্রেসিংরুমে থাকা কারও সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে দেখা যায়। এ সময় ম্যাচ জেতানো রংপুরের অধিনায়ক সোহানও তাকে থামাতে ছুটে যান। শেষপর্যন্ত বরিশালের একজন টিম ডিরেক্টর তামিমকে টেনে সেখান থেকে সরিয়ে নেন। ওই সময় টিক কি ঘটেছিল এই প্রশ্ন করা হয় ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা বরিশালের ব্যাটিং কোচ নাফিস ইকবালের কাছে। তিনি জানান, ‘ম্যাচ হারলে ইমোশনটা থাকে, সিরিয়াস কোনো কিছু না।’
উত্তাপ ছড়ানো সেই পরিস্থিতিতে তামিমের পাশে ছিলেন রংপুর দলের অধিনায়ক সোহান। তার কাছে এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এটা আমি কাছ থেকে দেখিনি। যাওয়ার পর বুঝতে পারব, কিন্তু কিছু একটা হয়েছে।’
অন্যদিকে, ফরচুন বরিশালের মালিক জনাব মিজানুর রহমানের কাছে প্রশ্ন করলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, “আমি যতটুকু শুনেছি মাঠে বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য নিয়ে তামিম ইকবালের আপত্তি ছিল। সে কারণেই হয়তো ম্যাচ শেষে কিছু বাক্য বিনিময় হয়েছিল।”
শেষ ওভারে জয়ের জন্য তাদের দরকার ছিল ২৬ রান। মোটামুটি জয়ই হয়তো ধরে নিয়েছিল বিপিএলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বরিশাল। তবে কাইল মায়ার্সের করা ওভারটিতে অধিনায়ক সোহান ৩০ রান তোলেন ৩টি করে চার-ছক্কায়। তাতেই জয়োৎসবে মাতে রংপুর। এ নিয়ে চলতি আসরে ৬ ম্যাচ খেলে অপরাজেয় থাকার রেকর্ডও তারা ধরে রেখেছে।
প্রসঙ্গত, টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। দলের হয়ে ২৯ বলে অপরাজিত ৬১ রান করেছেন কাইল মায়ার্স। জবাবে খেলতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ইনিংসের শেষ বলে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় রংপুর।