ইংল্যান্ডের জয় দিয়ে নেশন্স লিগের শুরু
ডেকলান রাইস ও জ্যাক গ্রিলিশ বলের দখল নিলেই দর্শকদের দুয়োধ্বনি শোনা যাচ্ছিল। একসময় এই দুই মিডফিল্ডার রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেললেও এখন ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেন এই দুজনই।
শনিবার উয়েফা নেশন্স লিগের ‘বি’ লিগের ম্যাচে প্রতিপক্ষের মাঠে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। রাইস প্রথমে দলকে এগিয়ে নেন, এরপর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গ্রিলিশ।
ইউরোর শেষ আসরের ফাইনালে স্পেনের কাছে হারের পর এটিই ইংল্যান্ডের প্রথম ম্যাচ। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ লি কার্সলিরও এটি ছিল প্রথম ম্যাচ। ম্যাচে দুই অর্ধে ভিন্নধর্মী ফুটবল খেলেছে ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধে তাদের আক্রমণে আয়ারল্যান্ড সেভাবে প্রতিরোধ গড়তে পারেনি, তবে দ্বিতীয়ার্ধে আয়ারল্যান্ড নিজেদের চেহারা পাল্টে দাপট দেখায়, যদিও তাদের ফিনিশিংয়ের দুর্বলতায় তারা গোলের দেখা পায়নি।
ম্যাচের শুরুতেই তৃতীয় মিনিটে আয়ারল্যান্ড প্রথম সুযোগ পায়। কর্নার থেকে সতীর্থের ফ্লিক পেয়েও অরক্ষিত জেসন মোলাম্বি মাথা দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট করেন।
চার মিনিট পর ইংল্যান্ড তাদের প্রথম সুযোগ সৃষ্টি করে। ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ডের নিখুঁত ক্রস থেকে হ্যারি কেইনের হেডও লক্ষ্যে পৌঁছায়নি।
একাদশ মিনিটে ইংল্যান্ড এগিয়ে যায়। অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ডের কাছ থেকে বল পেয়ে দ্রুত গতিতে গোলের উদ্দেশ্যে শট নেন অ্যান্থনি গর্ডন, তবে আয়ারল্যান্ডের গোলরক্ষক কিভিন কেলাহার তা ব্যর্থ করেন। রিবাউন্ড থেকে হ্যারি কেইনের শট ব্লক হলে আলগা বল পেয়ে ১২ গজ দূর থেকে গোল করেন ডেকলান রাইস।
রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে ২০১৮ পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলা রাইস গোলের পর উদযাপন করেননি।
পনেরো মিনিটে হ্যারি কেইন ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেলেও কাছ থেকে কেলাহারকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন।
২৬তম মিনিটে গ্রিলিশ ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। রাইসের কাটব্যাক ডি বক্সের মাথা থেকে শট নিয়ে পোস্ট ঘেঁষে বল জালে পাঠান ম্যানচেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার।
আয়ারল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলা গ্রিলিশ অবশ্য এই গোলটি উদযাপন করতে ছাড়েননি। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দর্শক হয়ে থাকায় তার এই উদযাপনে আনন্দ বেশি ছিল।
বিরতির পর ইংল্যান্ডের গতি কমে গেলে আয়ারল্যান্ড আক্রমণের ঝড় তোলে।
৫৯তম মিনিটে তারা গোলের খুব কাছে চলে যায়। চিডোজি ওগবেনের পাস থেকে শট নিতে গিয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট হন স্যামি স্মডিক্স। এরপর ৬১ মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েও বল বাইরে মারেন মোলাম্বি।
যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে জ্যারড বাউয়েনের শট ঠেকিয়ে দেন আয়ারল্যান্ডের গোলরক্ষক কেলাহার। কয়েক সেকেন্ড পর বুকায়ো সাকার বাঁকানো শটও ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন তিনি। ম্যাচে তার সপ্তম সেভের ফলে ব্যবধান আর বাড়েনি।
আগামী বুধবার ফিনল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড, একই দিন আয়ারল্যান্ড খেলবে গ্রিসের বিপক্ষে।