অসাধারণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি পেলেন ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার ফিল ফোডেন। প্রফেশনাল ফুটবলার্স এসোসিয়েশন (পিএফএ) এর ভোটে বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। গত মৌসুমে টানা চতুর্থবারের মত প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ে সিটির হয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন ফোডেন। ২৪ বছর বয়সী ফোডেন ১৯ গোল করা ছাড়াও আটটি এ্যাসিস্ট করেছেন। মৌসুমের শেষ দিনে আর্সেনালকে হতাশ করে পেপ গার্দিওলার দলের শিরোপা নিশ্চিত হয়।
কাল ম্যানচেস্টারে আয়োজিত বর্ণাঢ্য আয়োজনে পিএফএ বর্ষসেরার পুরস্কার প্রদান করা হয়। বর্ষসেরার ট্রফি হাতে ফোডেন বলেছেন, ‘এই পুরস্কার জয় সবসময়ই আমার কাছে বিশেষ কিছু। এই পুরস্কার হাতে নিতে পেরে আমি সবসময় গর্ব অনুভব করি। এজন্য সতীর্থদের কাছে কৃতজ্ঞ। এভাবে সতীর্থদের কাছ থেকে স্বীকৃতি পাওয়া অনেক বেশী অর্থবহন করে। আমাকে যারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। একইসাথে আমি পেপসহ পুরো কোচিং স্টাফ ও আমার সব সতীর্থদের বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই যাদের কারনে নিজেকে প্রতিদিনই পরিনত করতে পেরেছি।’
রোববার চেলসির বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় দিয়ে নতুন মৌসুম শুরু করেছে সিটি। টানা পঞ্চমবারের মত প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ে এবারও ফোডেন নিজেকে সিটির জার্সিতে প্রমান করতে মুখিয়ে আছেন। ফোডেন বলেন, ‘গত মৌসুম ক্লাবের সকলের জন্য অবশ্যই বিশেষ একটি মৌসুম ছিল। কিন্তু সবকিছু পিছনে ফেলে আমরা নতুনভাবে আবারো মনোনিবেশ করতে চাই, ক্লাবকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
২০২৩-২৪ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগেরও বর্ষসেরা খেলোয়াড় মনোনীত হয়েছেন ফোডেন। একইসাথে ফুটবল রাইটার্স এসোসিয়েশনের বর্ষসেরা ফুটবলারের ট্রফিও অর্জন করেছেন তিনি।
সিটির ফুটবল পরিচালক টিক্সিকি বেগিরিস্টেইন বলেছেন, ‘ফোডেনকে এই পুরস্কার অর্জন করতে দেখে এখানে সবাই দারুন আনন্দিত। সতীর্থ পেশাদার খেলোয়াড়দের কাছ থেকে এই ধরনের স্বীকৃতি সত্যিই বিশেষ কিছু। সে একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান একজন খেলোয়াড়। প্রতিনিয়ত সে নিজেকে আরো বেশী পরিনত করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। ম্যানচেস্টার সিটি যেভাবে নিজেদের প্রমান করতে চায় ফোডেন তার মূর্ত প্রতীক। ব্যক্তি জীবনেও সে বেশ ভদ্র, নম্র। যে কারনে পুরো ক্লাবে তার দারুন জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমরা সবাই তার জন্য অত্যন্ত গর্বিত।’
গত বছর এই এ্যাওয়ার্ড জয় করেছিলেন ফোডেনের সিটি সতীর্থ আর্লিং হালান্ড। এবারের বর্ষসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় ফোডেনের সাথে আরো জায়গা পেয়েছিলেন হালান্ড, রড্রি, চেলসির কোল পালমার, আর্সেনালের মার্টিন ওডেগার্ড ও এ্যাস্টন ভিলার অলি ওয়াটকিন্স।
চেলসি ফরোয়ার্ড পালমার পিএফএ বর্ষসেরা তরুন খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয় করেছেন।
এর মাধ্যমে ২০০৯-১০ মৌসুমের পর প্রথমবারের মত সিনিয়র ও তরুন খেলোয়াড়ের দুটি ট্রফি কোন ইংলিশ খেলোয়াড় অর্জন করলেন। ঐ আসরে ওয়েইন রুনি ও জেমস মিলনার এই দুটি পুরস্কার জয় করেছিলেন।
নারী বিভাগে পিএফএ বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অর্জন করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির খাদিজা শ। জ্যামাইকান ফরোয়ার্ড শ নারী সুপার লিগে সর্বোচ্চ ২১ গোল করেছেন। গোল ব্যবধানে চেলসিকে পিছনে ফেলে সিটি সুপার লিগের শিরোপা জয় করে।