ইউরোতে রোনালদোর যত কীর্তি
ইতোমধ্যেই ফ্রান্সের সাথে টাইব্রেকারে হেরে ইউরোর স্বপ্ন শেষ পর্তুগালের।কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের সাথে একাধিক বার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি তারা।নির্ধারিত সময়েও ম্যাচের কোনো সুরাহা না হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে ৯২মিনিটে এক দুর্দান্ত আসে রোনালদো এবং পর্তুগালের।ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েছিলেন রোনালদো। যদিও সে সুযোগ কাজে লাগানো যায়নি।অতিরিক্ত সময়েও ম্যাচের ফল না মিললে খেলা গড়ায় ট্রাইবেকারে।আর ট্রাইবেকারেই স্বপ্নভঙ হলো রোনালদোদের।যদিও আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন এইবারই তার শেষ ইউরো।সম্ভবত ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচটিই তার শেষ ম্যাচ হয়ে থাকবে।
ইউরোর এইবারের আসরটা ভুলেই যেতে চাইবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ৪ ম্যাচ খেলে কোনো গোল করতে পারেননি তিনি।তবে নামের পাশে আছে শুধুমাত্র একটি এসিস্ট।পর্তুগাল বিদায় নিলেও ইউরোর রেকর্ডবুকে শীর্ষে থেকেই মাঠ ছেড়েছেন পর্তুগালের এই তারকা। রোনালদোর ইউরো অভিষেক হয় ২০০৪ সালে।সেইবার ফাইনালে গ্রিসের সাথে হেরে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিলেন এই তারকা।ফুটবল ভক্তদের হয়তো এখনো তা মনে আছে।
রোনালদোর অভিষেকের আগে মাত্র ৩ বার ইউরো খেলেছিলো পর্তুগাল।তবে রোনালদোর অভিষেকের পর টানা ৬ বার ইউরোতে অংশ নিয়েছে তার দেশ।রোনালদো আরো একবার অশ্রুসিক্ত হয়েছিল ২০১৬ সালে।তবে সেইবার আর হারের কান্না নয়।২০১৬ সালে ইউরোর ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নিজ দেশকে এনে দিয়েছিলো কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা।আর সেই ইউরো জয়ের অন্যতম নায়কও রোনালদো।
ইউরোর ইতিহাস আজীবন মনে রাখবে রোনালদোকে।মোট ৩০ ম্যাচ খেলে করেছেন সর্বোচ্চ ১৪টি গোল সাথে ৮ টি এসিস্ট।যা ইউরোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ।রোনালদোর মাঠে থাকায় যেনো বাড়তি উন্মাদনা যোগান করে ভক্তদের।পর্তুগালের প্রথম শিরোপা জয়ের নায়ককে ফুটবল ভক্তরা যে আজীবন মনে রাখবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।