এখনো পর্যন্ত বিশ্বকাপটা স্বপ্নের মতোই কাটছে টাইগারদের। গ্রুপ পর্বে এক সাউথ আফ্রিকা ছাড়া বাকি ৩ দলকেই হারিয়েছে টাইগাররা। ফলে দাপটের সাথে সুপার এইটে পা রাখলো নাজমুল শান্তরা।
এর আগে টি-২০ বিশ্বকাপের মূলপর্বে কখনোই ২টির বেশি ম্যাচ জয়ের দেখা পায়নি টাইগাররা। তবে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এইবারের গ্রুপ পর্বের ৪ ম্যাচের ৩টিই জিতেছে টাইগাররা।এইবারের আসরে টাইগার বোলাররা রয়েছেন একেবারে ফর্মের তুঙ্গে।একসময়ের স্পিন নির্ভর বাংলাদেশ এইবারের জাদু দেখাচ্ছে পেস বোলিংয়ে। মুস্তাফিজ,তাসকিন,তানজিম সাকিব এবং শরিফুলরা দেখাচ্ছেন আশার আলো।সর্বোচ্চ উইকেট শিরাকির তালিকায় ৫ নম্বরে রয়েছে টাইগাররা পেসার তানজিম সাকিব।৪ ম্যাচে এই পেসার নিয়েছেন ৯টি উইকেট।অন্যদিকে বাংলার স্পিন অ্যাটাক সামলাচ্ছেন অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান এবং তরুণ রিশাদ।ইতোমধ্যেই ২জনেই দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
তবে উল্টো চিত্র যেন ব্যাটিংয়ে।কোনোভাবেই যেনো ব্যাটিং ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না টাইগাররা। বড় ম্যাচে জিততে হলে যে ব্যাটারদের দায়িত্ব নিতে হবে একথা বলার গুরুত্ব রাখে না।
সুপার এইটে বেশ কঠিন গ্রুপ পড়েছে টাইগাররা। টাইগারদের গ্রুপে রয়েছে শক্তিশালী ভারত,অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তান।র্যাংকিং বিবেচনায় ৩দলই রয়েছে বাংলাদেশ থেকে বেশ এগিয়ে।
আগামী ২১জুন এন্টিগায় বাংলাদেশ সময় ভোর ৬:৩০ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। একদিন পরেই শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। গ্রুপের শেষ ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান।
সুপার এইটে সবকটি ম্যাচ জিতে পরের রাউন্ডে পা রাখাই একমাত্র লক্ষ্য টাইগারদের। ব্যাটে বলে জ্বলে উঠতে পারলে তবেই শুধুমাত্র সম্ভব হবে পরের রাউন্ডে যাওয়ার।