খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৪

ফাইনালের আগে চলুন উপভোগ করি ভক্তদের কথার লড়াই!

কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কোপার ফাইনালে আর্জেন্টিনা

0

ওহ ‘এমি’ ! ফেসবুক কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমজুড়ে এই মুহূর্তে দুই শব্দের খুব ছোট কিন্তু বিশ্বে আলোড়ন তোলা বাক্য বোধকরি এটিই ! আর্জেন্টিনার কোটি ভক্ত- সমর্থকের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার আরেকটা অনুভূতিও চাইলে বলতে পারেন।

এমি। মানে এমিলিয়ানো মার্টিনেজের টাইব্রেকারে এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই যে আলবিসেলেস্তেদের নিয়ে গেলো মারাকানার ফাইনালের। যেখানে আগে থেকে ওখানটাই বসে আজকের সেমিতে চোখ রেখেছিলো স্বাগতিক ব্রাজিল।

১৪ বছর পর কোপার ফাইনালে তাই দেখা হচ্ছে এই দুই চিরপ্রতিন্দ্বন্দ্বির। কলম্বিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালের জয় কাংখিত এক ফাইনালের মঞ্চই সাজিয়ে রাখলো। শেষ হাসি কে হাসবে সেটি পরের কথা, আপাতত: এমি বন্দনায় মুখর ফুটবলপ্রেমীরা।

 

কোপার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে এস্তাদিয়ো ন্যাসিওনাল দে ব্রাসিলিয়ায় নির্ধারিত সময় পর্যন্ত খেলা ১-১ গোলে সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে ৩-২ ব্যবধানে জিতে ফাইনালের টিকিট কেটেছে আর্জেন্টিনা।  কলম্বিয়ার তিনটি শট ঠেকিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।

২০১৬ সালের পর এই প্রথম কোপার ফাইনালে উঠলো আর্জেন্টিনা। আগামী রোববার বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায়  ১৫তম কোপা জেতার স্বপ্ন নিয়ে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে তারা।

খেলার শুরুতেই লউতারো মার্তিনেসকে দিয়ে গোল করান মেসি। সপ্তম মিনিটে লো সোলসোর কাছ থেকে ডি-বক্সে বল পান বার্সা ফরোয়ার্ড। কলম্বিয়ার এক ডিফেন্ডার  বল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও দ্রুতই তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক খুঁজে নেন মার্তিনেসকে। ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার আড়াআড়ি শটে জালে বল পাঠান।

ম্যাচে দলের প্রথম গোলে অবদান রেখে নতুন এক রেকর্ড গড়েছেন মেসি। এখন পর্যন্ত চলতি কোপায় তার অ্যাসিস্ট হলো ৫টি। এর আগে এক আসরে ৪টির বেশি অ্যাসিস্ট ছিল না আর কারো।

দ্বিতীয়ার্ধে কলম্বিয়া ধীরে ধীরে আক্রমণের গতি বাড়াতে থাকে। বল দখলেও এগিয়ে যায় তারা। ৬১তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দেখাও পেয়ে যায় কলম্বিয়া। কারদোনার ফ্রি-কিক থেকে বল নিয়ে আর্জেন্টিনার রক্ষণে ঢুকে দারুণ এক ফিনিশিংয়ে সমতা টানেন লুইস দিয়াজ।

এরপর নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও যোগ করা সময়ে দুই দল আর লক্ষ্যের দেখা না পেলে কোপার নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয় পেনাল্টি শুট-আউটে। যদিও ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে খেলার মীমাংসা না হলে অতিরিক্ত আরো ৩০ মিনিট খেলা হবে। সেই স্বপ্নের ফাইনালের আরো দিন তিনেক বাকি। এই সময়টাতে চোখ রাখতে হবে দুই দলের ভক্ত সমর্থকদের কথার লড়াইয়ে।সেটিও যে হচ্ছে দারুন হাড্ডাহাড্ডি আর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন !

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy