টাইব্রেকারে আর্সেনালের কাছে কমিউনিটি শিল্ড হেরেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। তবে এবার ভুল করেনি পেপ গার্দিওলার দল। ইউরোপা সুপার কাপের ম্যাচে টাইব্রেকারে সেভিয়াকে ৫-৪ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এই শিরোপা জিতলো সিটিজেনরা। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় থাকলে টাইব্রেকারের গড়ায় ম্যাচ।
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে শুরু থেকেই আক্রমণের পর আক্রমণ করতে থাকে আর্লিং হালান্ড-জ্যাক গ্রিলিশরা। সপ্তম মিনিটে কোল পালমারের শট ফিরিয়ে দেন সেভিয়ার গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। এর কিছুক্ষণ পর গ্রিলিশের জোরালো শটও ঠেকান তিনি। কিন্তু খেলার ধারার বিপরীতে গোল করে এগিয়ে যায় সেভিয়া।
ম্যাচের ২৫ মিনিটে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মার্কোস আকুনার দারুণ ক্রসে বক্সে প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারের মধ্যে লাফিয়ে হেডে গোলটি করেন মরক্কোর ফরোয়ার্ড ইউসেফ এন-নেসিরি। এরপর চেষ্টা করেও প্রথমার্ধে গোল পরিশোধ করতে পারেনি গার্দিওলার দল। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরে
সিটি। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রদ্রির ক্রসে দূরের পোস্টে হেডে বল জালে পাঠান পালমার। চলতি মৌসুমে সিটির হয়ে ২১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের দ্বিতীয় গোল এটি। এদিন ম্যাচে ইকায় গুন্দোয়ান ও কেভিন ডি ব্রুইনার অভাব ভালোভাবেই টের পেয়েছে গার্দিওলার দল।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে আর কোনো দল গোল করতে না পারলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। গার্দিওলার দলের হয়ে আর্লিং হলান্ড, জুলিয়ান আলভারেজ, মাতেও কোভাচিচ, জ্যাক গ্রিলিশ আর কাইল ওয়াকার। বিপরীতে সেভিয়ার ওকাম্পোস, রাফা মির, রাকিতিচ এবং মন্তিয়েল গোল করলেও মিস করেন নেমানিয়া গুলেদি। আর তাতেই প্রথমবারের মতো সুপার কাপ জয় নিশ্চিত হয় সিটির।