বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আফ্রিকার নতুন পরিকল্পনা
এতদিন বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কয়েক ধাপের প্রতিযোগিতার আয়োজন করত আফ্রিকা। তবে ২০২৬ সালে অনুষ্ঠেয় আগামী ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য পরিকল্পনায় বদল এনেছে মহাদেশটির ফুটবল সংস্থা। পূর্বের তিন ধাপের লড়াই বাদ দিয়ে এবার এক ধাপের বাছাইপর্ব আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে তারা।
গত বছর কাতারে হওয়া বিশ্বকাপে খেলেছে মোট ৩২টি দেশ। সেখানে আফ্রিকার দল ছিল পাঁচটি। উত্তর আমেরিকায় হতে যাওয়া আগামী বিশ্বকাপে মোট দল বেড়ে হয়েছে ৪৮টি, স্বাভাবিক আফ্রিকার অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যাও বেড়ে হচ্ছে ৯টি।
এর জন্য শুক্রবার বাছাইপর্বের নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে আফ্রিকার ফুটবল সংস্থা (সিএএফ)। মহাদেশটির মোট ৫৪টি দেশকে ৯টি গ্রুপে ভাগ করে হবে বাছাইপর্বে। প্রতিটি গ্রুপের সেরা দল খেলবে চূড়ান্ত পর্বে।
২০২২ সালের বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের প্রাথমিক পর্বে র্যাঙ্কিংয়ের নিচের দিকের দলগুলো নিজেদের মধ্যে প্লে-অফে মুখোমুখি হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে হয় গ্রুপ পর্বের লড়াই এবং ১০ গ্রুপের বিজয়ীর মধ্যে দুই লেগের প্লে-অফে পাঁচ দল পায় মূল পর্বের টিকেট।
পুরো প্রক্রিয়াটি তুলনামূলক কম সময়ে শেষ করতে সূচি থাকতো ঠাসা। সেখানে নতুন আঙ্গিকে এবারের বাছাই হবে ২৩ মাসে।
বেনিনের শহর কোতানুতে আগামী ১২ জুলাই হবে বাছাইপর্বের ড্র।
সিএএফ-এর বিবৃতিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ৫৪টি দেশের সবগুলোই বাছাইপর্বে থাকবে, অর্থাৎ প্রতি গ্রুপে থাকবে ৬টি করে দল।
২০২৬ বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করবে কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা ফিফা এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ১৯ জুলাই।