ম্যানসিটির সামনে ট্রেবল জয়ের হাতছানি
রিয়াল মাদ্রিদের ম্যানেজার আনচেলত্তি ম্যাচের আগে সিটিকে উদ্দেশ্য করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন , তারা যেন গোল দিলে শুরুতেই দিয়ে দেয়। আমরা যেন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেবার যথেষ্ট সময় পাই। কিন্তু ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে যা হল তা এখন সবারই জানা। নিয়ন্ত্রণ ত নয়ই; পুরো ম্যাচে উল্টো রিয়ালকে মুরগি বানিয়ে ছেড়েছে সিটিজেনরা।
ঘরের মাঠে গার্দিওলার দল ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল মাদ্রিদকে। ২৩ ও ৩৭ মিনিটে জোড়া গোল বের্নার্দো সিলভার। ৭৬ মিনিটে নিজেদের জালে বল পাঠান মিলিতাও। অতিরিক্ত সময়ে দলের চতুর্থ গোল আলভারেজের। দুই পর্ব মিলিয়ে সিটি জিতল ৫-১ এ।
ফলে মাদ্রিদকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের টিকেট কেটেছে ম্যানচেস্টার সিটি। আগামী ১০ জুন শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে তারা। সেই ম্যাচটি জিতলেই প্রথমবারের মতো ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জয় করবে ইংলিশরা। তবে তার আগে আরও দুটি ট্রফি জয়ের হাতছানি তাদের সামনে। ফলে সামনের এই দুই সপ্তাহ সিটির জন্য গোল্ডেন উইক বলাই যায়!
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এখনও তিন ম্যাচ বাকি ম্যানচেস্টার সিটির। যেকোনো একটি ম্যাচ জিতলেই তাদের ঘরে উঠবে শিরোপা। যা হবে তাদের হ্যাটট্রিক প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা। আগামী ২১ মে তারা মুখোমুখি হবে চেলসির বিপক্ষে। সেই ম্যাচে জিতলেই সিটিজেনদের ঘরে উঠবে আরও একটি ট্রফি।
এরপর আগামী ৩ জুন তারা খেলতে নামবে এফএ কাপের ফাইনাল। সেই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সেটা জয়েরও সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে আল্ভারেজ-কেভিন ডি ব্রুইনাদের। টানা দুই শিরোপা জিতে গেলেই আত্মবিশ্বাসের পাহাড় নিয়ে তারা খেলতে নামবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। আর সেটা জিতলেই চলতি মৌসুমে নিশ্চিত হবে গার্দিওলার শিষদের ট্রেবল জয়।
এমন আরাধ্য সাধনে বিশ্বাসী পেপ গার্দিওলাও, ‘আমরা ট্রেবল দেখছি এবং আমরা তা নিয়ে ভাবতেই পারি। তবে গুনে গুনে তিনটা ম্যাচ দূরে আছি। তিনটি ভিন্ন প্রতিযোগিতার তিনটি ম্যাচ, আমরা এটা জয়ের প্রত্যাশা করতেই পারি।’
এর আগে প্রিমিয়ার লিগের কোনো ক্লাব হিসেবে ১৯৯৯ সালে ‘ট্রেবল’ জেতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এবার কি তাদের কাতারে যোগ হতে যাচ্ছে সিটিজেনদের নামও?