জাতীয় সংগীতে গলা মেলায়নি ইরানি ফুটবলাররা
যেকোনো খেলার বিশ্ব আসরে ম্যাচ শুরুর আগে জাতীয় সংগীতে গলা মেলানো একটি অপরিহার্য অংশ। অধিকাংশই মনে করে এতে করে প্লেয়ারদের মধ্যে দেশপ্রেম বেড়ে যায়, তারা আরো উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি ইতালির নাম, ফুটবলে তাদের সফলতার অন্যতম কারিগর হিসেবে ধরা হয় উচ্চস্বরে জাতীয় সংগীত গাওয়াকে, এতে করে তারা নাকি উজ্জীবিত হয়ে প্রতিপক্ষের থেকে এগিয়ে যায়।
ফুটবল বিশ্বকাপকে বলা হয় গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। এবার এই আসরেই জাতীয় সংগীতে গলা মেলায়নি ইরানের খেলোয়ারগণ! অবশ্য তার পেছনে আছে রাজনৈতিক কারণ।
পুলিশি হেফাজতে তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর জের ধরে ইরানে চলছে সরকারবিরোধী আন্দোলন। ফুটবলারদের দাবী সেই আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েই তারা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে জাতীয় সংগীতে গলা মেলায়নি।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে ২২ বছর বয়সী তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যু হয়। আমিনির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, পুলিশের নির্যাতনের কারণে প্রাণ গেছে তার। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, নির্যাতন নয় বরং আচমকা হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছে আমিনি। তখন থেকেই ইরানজুড়ে চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ।
শুধু খেলোয়াড়গণ নয়, স্বয়ং কোচ কার্লোস কুইরেজও এই আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বিবিসি সহ অন্যান্য প্রধান ইংলিশ মিডিয়া এই ধরনের প্রতিবাদকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে।