শুভ জন্মদিন ব্রেন্ডন টেলর!
২০০৩-২০০৪ সালের দিকে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে তাদের সে সময়ের সেরা খেলোয়াড়দের বিদ্রোহে যখন টালমাটাল ক্রীড়াঙ্গন সেই ভয়াবহ দু:সময়ে দলে এসেছিলেন একজন ক্রিকেটার। সময়ের পাল্লায় বনে যান জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের এক নতুন মহাতারকা। এতক্ষণে বুঝে গেছেন কোন ক্রিকেটারের কথা বলছি। ব্রেন্ডন টেলর। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সোনালি সময়ের শেষ স্মৃতি।
১৯৮৬ সালে আজকের দিনে জিম্বাবুয়ের হারারেতে জন্ম নেওয়া টেলরের ক্রিকেট যাত্রাটা শুরু হয়েছিল স্বপ্নের মতো। স্কুলে থাকতে ছোট্ট টেলরের উপর নজর পড়ে অ্যালিস্টার চ্যাপেলের বাবা ইয়ান চ্যাপেলের।সেখান থেকে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক।
জিম্বাবুয়ের বয়সভিত্তিক জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য টেলর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষিক্ত হওয়ার পরের বছরই লোগান কাপে ডাবল সেঞ্চুরি করে নজর কাড়েন নির্বাচকদের। যার ফলাফল মাত্র ১৮ বছর বয়সে ২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক।
২০০৪ সালে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু টেলরের একই বছরে টেস্ট ও ২০০৬ সালে টি-টুয়েন্টিতে অভিষেক হয় তার। এরপর থেকে দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার হয়ে উঠেন তিনি।
২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে দলের অধিনায়কত্বের ভার উঠে টেলরের কাধেঁ। তিন সংস্করনেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। টেস্টে ১৬ ম্যাচ, ওয়ানডেতে ৩৭ ও টি-টুয়েন্টিতে ১৮ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন টেলর।
দেশের হয়ে ২০৫ টি ওয়ানডেতে প্রায় ৩৫ গড়ে করেছেন ৬৬৮৪ রান, ৩৪ টেস্টে ৬ টি সেঞ্চুরি এবং ১২ টি হাফ সেঞ্চুরিতে করেছেন ২৩২০ রান এবং ৪৫ টি-টুয়েন্টিতে প্রায় ২৫ গড়ে করেছেন ৯৩৪ রান।
জীবনের ১৭ টি বসন্ত জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটকে সপে দেওয়া ব্রেন্ডন টেলর বিদায়ের পর ফেঁসে যান ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে। কেলেঙ্কারির কালো থাবা এক পাশে রাখলে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট টেলরের অবদান যে ভুলবেনা সেটা নিশ্চিত।
শুভ জন্মদিন ব্রেন্ডন টেলর!