কলিনদ্রেস-জীবনের নৈপুণ্যে তিন বছর পর ফাইনালে আবাহনী
স্বাধীনতা কাপে প্রথম সেমিফাইনালে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠল ঢাকা আবাহনী। কলিনদ্রেস-জীবনের নৈপুণ্যে দুই অর্ধে দুটি গোল করে জামাল ভূঁইয়ার দলকে হারায় তারা।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ম্যাচের ১ম মিনিটেই ভালো সুযোগ পায় তারা। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমফন সানডের বাড়ানো পাসে বক্সের ভিতরে অরক্ষিত থেকেও কাজে লাগাতে পারেনি মারাজ হোসেন।
এরপর ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে আবারও সহজ সুযোগ নষ্ট করে জামাল ভূঁইয়ার দল। সময়ে থাকে থাকে পাল্টা আক্রমণ চালাতে থাকে মারিও লেমোসের দল। যার ফলস্বরূপ ম্যাচের ২৩তম মিনিটে ডি-বক্সের বাহিরে সাইফের ডিফেন্ডার রহমত মিয়ার ফাউলে সেট পিস পায় আবাহনী। সেট পিসের পূর্ণ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচের ২৫ মিনিটে কলিনদ্রেস সোলেরা দুদার্ন্ত ফি কিকে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ঢাকা আবাহনী।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমতে শুরু করে ম্যাচ। ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে সমতায় ফেরার সহজ সুযোগ নষ্ট করে জামাল ভূঁইয়ার দল। ম্যাচের বাকি সময় কার্যকরী ফরোয়ার্ড না থাকায় সহজ সুযোগ নষ্ট করতে থাকে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। বরং ৮১তম মিনিটে আরেকটি ফ্রি কিক থেকে জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় আবাহনীর। মনির হোসেনের থ্রো রিসিভ করায় সময় তাকে ফেলে দেন সাইফের খেলোয়াড়। বক্সের ঠিক ডানপ্রান্তের কোনা থেকে ফ্রি কিক নেন কলিন্দ্রেস। তার মাঝারি উঁচু শট লক্ষ্যেই ছিল, গোলরক্ষক তা ঠেকাতে সঠিক দিকেই ঝাঁপ দেন। কিন্তু তিনি ঠেকানোর আগেই নাবীব নেওয়াজ জীবন তাকে হতাশ করে জালে বল জড়ান। ৮১ মিনিটে আবাহনী এগিয়ে যায় ২-০ তে।
এরপর ম্যাচের বাকি সময় কোন দল গোল করতে না পারায় ২-০ গোলের জয় নিয়ে ৩ বছর পর স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে টিকেট কাটে ঢাকা আবাহনী।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর ফাইনাল। আবাহনীর প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত হবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ও বাংলাদেশ পুলিশ এফসির দ্বিতীয় সেমিফাইনাল শেষে।