ডিফেন্সের ভুলেই বাংলাদেশের এশিয়া কাপের স্বপ্ন ভঙ্গ
সিনিয়রদের মতো অনূর্ধ্ব-১৭ দলেরও এশিয়া কাপের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। আজ (৩০ নভেম্বর, রোববার) অনূর্ধ্ব-১৭ দলের এশিয়া কাপের মূল পর্ব নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল। এজন্য স্বাগতিক চীনকে হারানোর প্রয়োজন ছিল।
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে ‘এ’ গ্রুপের স্বাগতিকরা ৪-০ গোলে বাংলাদেশকে হারিয়েছে।
এতে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে আগামী বছর সৌদি আরবে খেলার টিকিট নিশ্চিত করেছে তারা।
বাংলাদেশ এএফসি বাছাই টুর্নামেন্টে টানা চার ম্যাচ জিতেছিল।
চীনের বিপক্ষে মূল পরীক্ষায় বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা অনেক ভুল করেছেন। পাশাপাশি ফরোয়ার্ডরাও দক্ষতার পরিচয় দেখাতে পারেননি।
চীন ফুটবলে এমনিতেই শক্তিশালী দল, তার ওপর স্বাগতিক দল। এই প্রতিপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ সেভাবে লড়াই করতে পারেনি।
চীনের চংকিন ইয়ংচুয়ান স্পোর্টস সেন্টার স্টেডিয়ামে হাজারো দর্শকের সামনে শুরু থেকেই দাপট ছিল চীনের।
বাংলাদেশ রক্ষণে অনেক মনোযোগ দিয়েও গোল পায়নি। বারবার ভুলে গোল হজম করেছে।
৯ মিনিটে মধ্যমাঠ থেকে লং পাসে ডান দিকের মাপা ক্রস গোলকিপার তালুবন্দি করার আগেই ৬ গজের ভেতরে সুয়েয়ি ওইহাও শুধু এক টোকায় বলের গতি পরিবর্তন করে দেন।
৩৯ মিনিটে বাংলাদেশের ভুলে আবার লিড চীনের।
কামাল মৃধা ব্যাকপাসে বল নিয়ে কিছু করার আগেই সুয়েয়ি ওইহাও দৌড়ে এসে তার পা থেকে ছিনিয়ে নেন, তারপর পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা গোলকিপারকে কাটিয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে।
৫২ মিনিটে সুয়েয়ি ওইহাও হ্যাটট্রিক করেন।
ডান প্রান্তে ভাসিয়ে দেওয়া বলে সুয়েয়ি লাফিয়ে উঠে হেডে স্কোর ৩-০ করে বাংলাদেশকে একদম ব্যাকফুটে ফেলে দেন।
৮৯ মিনিটে আরেক গোল করলে চীন বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
বাংলাদেশ অ-১৭ দলের হেড কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন এশিয়া কাপের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তবে আবার হারকে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন,
‘চীন আমাদের চেয়ে সব কিছুতেই এগিয়ে; টেকনিক্যালি, ট্যাকটিক্যালি, ফিজিক্যালি, মেন্টালি সব দিকেই। এরপরও আমাদের ছেলেরা চেষ্টা করেছে। ম্যাচে কিছু ভুল করেছে ছেলেরা। পাঁচ দিনের মধ্যে আমাদের পাঁচ ম্যাচ খেলতে হয়েছে।’
বাংলাদেশ চার ম্যাচ জিতে এশিয়া কাপে খেলার প্রত্যাশা তৈরি করেছিল।
এশিয়ার শীর্ষ স্তরে খেলতে যে মান ও দক্ষতা প্রয়োজন, বাংলাদেশ সেখান থেকে দূরে। চীনের ম্যাচে সেটা আবার প্রমাণিত।
দক্ষিণ এশিয়ার গন্ডি ও এশিয়ার মঞ্চের ব্যবধানও অনেক। ফলে দুই দশক পর আবার এএফসির বয়সভিত্তিক পর্যায়ে মূল পর্বে খেলার সম্ভাবনা জাগলেও বাস্তবে রুপ নেয়নি।

