খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

রবিবার, ২৬শে অক্টোবর ২০২৫

দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই কেন ছিটকে গেছে বাংলাদেশ?

বাছাই পর্বের দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই এশিয়ান কাপ খেলার দৌড় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। ১৯৮০ সালে কুয়েতে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলেছিল বাংলাদেশ। এর পর চার দশকে আর এশিয়ার শীর্ষ পর্যায়ে খেলা হয়নি।
এবার এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হামজা-সামিত সোমের মতো ফুটবলার লাল-সবুজ জার্সিতে খেলেছেন। ফলে ফুটবলপ্রেমীদের আশা ছিল বাংলাদেশ আবার এশিয়া কাপে খেলবে। 

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের পয়েন্ট মাত্র দুই।
ফুটবলে হোম ম্যাচে সবাই পূর্ণ তিন পয়েন্ট প্রত্যাশা করে। সেখানে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই পয়েন্ট শূন্য।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি বাংলাদেশের এশিয়া কাপ খেলতে না পারার পেছনে কোচিং স্টাফকেই প্রধানত দায়ী করছেন,

‘এবার এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গ্রুপটা সমশক্তির ছিল। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের শুরুতেই আমরা হামজা চৌধুরিকে পেয়েছি। পরের ম্যাচে সামিত সোম। তারা আসার পর আমাদের দলীয় শক্তি অনেক বেড়েছে। তারা তাদের সেরাটা দিলেও কোচের কৌশলের কারণে আমরা সেটার পূর্ণ উপযোগীতা পাইনি। ফলে দুই ম্যাচ আগেই আমরা এখন টুর্নামেন্টের বাইরে।’

এমিলি তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন এভাবে,

‘যে ম্যাচ দু’টি আমরা হেরেছি সেই ম্যাচ দু’টোতে আমরা পয়েন্ট পেতাম। আবার যে ম্যাচ দু’টি আমরা ড্র করেছি সেগুলো জেতার মতো ছিল। ভালো মানের কোচ থাকলে আমরা এই চারটির মধ্যে অন্তত দু’টি ম্যাচের ফলাফল অন্য রকম হতে পারত। তখন আমরা শেষ ম্যাচ পর্যন্ত এশিয়া কাপ খেলার দৌড়ে থাকতাম।’

হামজা-সামিতের সঙ্গে খেলার পর অন্য ফুটবলাররাও উজ্জীবিত হচ্ছেন।
তবে গতকাল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রতিপক্ষ যখন দশ জনের সেখানে সমতা আনার পর রাকিবদের গোল উদযাপন মানসিকতা ও পরিপক্বতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ফুটবলাঙ্গনে।

সাবেক অধিনায়ক এমিলি অনুজদের চেয়ে কোচকেই এখানে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চান,

‘আগের ম্যাচে সামিতের গোলে ৩-৩ হওয়ার পর কোচ যেন উসাইন বোল্টের মতো ১০০ মিটার স্প্রিন্ট দিয়ে খেলোয়াড়দের উৎসবে শামিল হয়েছিলেন। যেই কোচ এমন অপেশাদার আচরণ করেন সেখানে খেলোয়াড়দের এমন কর্মকাণ্ড অস্বাভাবিক নয়।’

বাংলাদেশের এশিয়া কাপের খেলার সম্ভাবনা শেষ। তবে চার ম্যাচে ভালো ফুটবলের মাধ্যমে নতুন দিগন্ত উকি দিচ্ছে। তাই ভবিষ্যতের জন্য ভালো কোচিং স্টাফ দাবী এমিলির,

‘আমাদের ফুটবলাররা সম্ভাবনা ও সামর্থ্য প্রদর্শন করেছে। এখন একজন খুব ভালো মানের কোচ দরকার। শুধু হেড কোচ নয়, পূর্ণাঙ্গ কোচিং স্টাফ। যারা দীর্ঘমেয়াদে কাজ করে দলকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাবে।’

দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই কেন ছিটকে গেছে বাংলাদেশ?

জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ও কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু বর্তমান কোচিং স্টাফের যথার্থ মূল্যায়ন দাবি করেছেন,

‘কোচিং স্টাফ নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা-সমালোচনা চলছিল। ফেডারেশন এদের উপরই আস্থা রেখেছিল। এখন সময় এসেছে সেটা গভীরভাবে পর্যালোচনা করার।’

তবে যারা কোচদের পারফরম্যান্স এবং কর্মকান্ড পর্যালোচনা করবেন তারা কোচিং সম্পর্কে কতটুকু ধারণা রাখেন এ নিয়েও সন্দিহান অনেকে।

হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার সঙ্গে সহকারী হিসেবে কাজ করছেন হাসান আল মামুন। প্রতি উইন্ডোতে গোলরক্ষক ও ফিটনেস কোচ বদল হচ্ছে।

এই বিষয়গুলো বেশ সূক্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য মিন্টুর,

‘জাতীয় দলে কোচিং স্টাফ আরো অভিজ্ঞ ও পরিপূর্ণ দরকার। যিনি হেড কোচকে ভালোভাবে গাইড করতে পারবেন। এগুলো ম্যাচ পরিকল্পনা ও ফলাফলে প্রভাব ফেলে ব্যাপকভাবে।’

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy