ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিতে রিয়াল, পরের লড়াই পিএসজির বিপক্ষে
লস ব্লাঙ্কোসদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছিল ডর্টমুন্ড। যোগ করা সময়ে ৩ গোল ও একটি লাল কার্ড রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে পরিণত করে।
বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়ে নিশ্চিতভাবে সেমিতে রিয়াল। পরের লড়াই পিএসজির বিপক্ষে।
রিয়াল মাদ্রিদ ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ২০২৩-২৪ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের পুনরাবৃত্তি করে কি না সেই আলোচনা চলছিল। যদিও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের এই লড়াইটা ঠিক একপেশে হয়নি।
নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে গতকাল (শনিবার) রিয়াল-ডর্টমুন্ড নেমেছিল কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ ম্যাচ খেলতে।
যেখানে দুই গার্সিয়ার গোলে লিড নেওয়ার পর বাইসাইকেল কিকে রিয়ালের জয় নিশ্চিত করেছেন কিলিয়ান এমবাপে।
যদিও দুই গোল করে তাদের কম্পন ধরিয়ে দিয়েছিল ডর্টমুন্ডের ম্যাক্সিমিলিয়ান বেইয়ের ও সেরু গুইরাস্সি।
একেবারে শেষদিকে লাল কার্ড দেখেন রিয়ালের নতুন সাইনিং ডিন হুইজসেন। যা জাবি আলোনসোর জন্য বড় ধাক্কাই বটে, তাকে ছাড়াই নামতে হবে সেমিতে।
এবারের ক্লাব বিশ্বকাপে রিয়ালের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার গঞ্জালো গার্সিয়া। টানা তিন ম্যাচে তিনি গোল করেছিলেন। ডর্টমুন্ডের বিপক্ষেও গোল পেলেন দশম মিনিটেই।
আর্দা গুলারের বাড়ানো বল ছয় গজ বক্সে পেয়ে, স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড প্রথমে জায়গা বানিয়ে নেন।
এরপর সাইড-ফুট ভলিতে গোল করে লিড পাইয়ে দেন সাদা শিবিরকে। যা বিশ্বকাপের ৫ ম্যাচে তার চতুর্থ গোল।
মিনিট দশেক বাদেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফ্রাঙ্কো গার্সিয়া। স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন।
বিরতির আগেই দু’বার পিছিয়ে পড়া ডর্টমুন্ড সেভাবে হুমকি হয়ে উঠতে পারেনি রিয়ালের। যদিও পজেশনে তারা এগিয়ে ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধে জার্মান জায়ান্টরাও পাল্টা লড়াই শুরু করলে খেলায় গতি বাড়ে।
তবে আক্রমণের নিয়ন্ত্রণটা রিয়ালের হাতেই ছিল। ২-০ স্কোরবোর্ড নিয়ে ম্যাচ শেষের পথে যাচ্ছিল।
কিন্তু নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর যোগ করা সময়ে দৃশ্যপট বদলে যায়।
দ্বিতীয় মিনিটে অ্যান্টোনিও রুডিগার বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের পায়ে দিয়ে বসেন, ম্যাক্সিমিলিয়ান নিচু শটে বল জালে জড়িয়ে সেটি পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন।
কাঁপন ধরে পড়া রিয়াল শিবিরে এরপর স্বস্তি ফেরান ইনজুরির কারণে গত ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরা এমবাপে। গুলারের দারুণ ক্রস পেয়ে ছয় গজ বক্সের মুখে তিনি অ্যাক্রোবেটিক ওভারহেড কিক নেন।
রিয়াল এগিয়ে যায় ৩-১ ব্যবধানে।
নাটকীয়তার শেষ হয়নি তখনও। প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে নিজেদের বক্সে ফাউল করে রিয়াল ডিফেন্ডার ডিন হুইজসেন লাল কার্ড দেখেন আর পেনাল্টি পায় ডর্টমুন্ড।
সেখান থেকে স্পট কিকে গুইরাস্সি গোল করে আশা সঞ্চার করেন।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাদের জোরালো শট ঠেকিয়ে থিবো কোর্তোয়া স্কোর ৩-২ থেকে পরিবর্তন হতে দেননি।
এমন রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে রিয়ালের জয় নিশ্চিত হয় রেফারির শেষ বাঁশিতে। তবে ফাইনালের আগেই তাদের আরেক ফাইনাল খেলতে হবে।
কারণ ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন পিএসজির সঙ্গে পড়েছে তাদের সেমিফাইনাল।
১০ জুলাই, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।