বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টা মনোনয়ন গঠনতন্ত্র বর্হিভূত!
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল আজ (১৯ জুন, বৃহস্পতিবার) প্রেসিডেন্টস এডভাইজার কমিটিতে তিন জন উপদেষ্টা মনোনীত করেছেন। তবে, বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টা মনোনয়ন গঠনতন্ত্র ‘বর্হিভূত’ বলে মানা হচ্ছে।
বিসিবির ২০২৪ সালের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিসিবি সভাপতি সর্বোচ্চ ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করতে পারেন। এই কমিটির কাছ থেকে প্রয়োজনে উপদেশ ও পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবেন বিসিবি সভাপতি।
বিসিবি গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ২২–এ উপদেষ্টা কমিটি গঠনের একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রথম লাইনেই রয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে-
‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি দেশের খ্যাতনামা ক্রিকেটার/প্রখ্যাত ক্রিকেট সংগঠকদের মধ্য হইতে সর্বোচ্চ ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করিতে পারিবেন।’
গঠনতন্ত্রে সুস্পষ্ট লেখা রয়েছে খ্যাতনামা ক্রিকেটার/প্রখ্যাত ক্রিকেট সংগঠকদের কথা।
কিন্তু বিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে তিনজন মনোনীত উপদেষ্টার খ্যাতনামা ক্রিকেটার কিংবা প্রখ্যাত ক্রিকেট সংগঠক হিসেবে পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে-
- বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার মো. সাখাওয়াত হোসেনকে হসপিটালিটি শিল্পে বিশেষজ্ঞ,
- সৈয়দ আবিদ হোসাইন সামিকে স্পোর্টস মিডিয়া অ্যানালিস্ট ও
- ব্যারিস্টার শেখ মাহাদীকে আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিসিবির আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে তিন জনের কারও পরিচয়েই সাবেক ক্রিকেটার কিংবা বিশিষ্ট সংগঠক পরিচয় নেই। অথচ উপদেষ্টা মনোনীত হওয়ার অন্যতম শর্তই এটি!
মনোনীত তিন ব্যক্তির মধ্যে সৈয়দ আবিদ হোসাইন সামির ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিতি রয়েছে।
পূর্বে তিনি প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ খেলেছেন। এখন মিডিয়ায় কর্মরত এবং ক্রিকেট এনালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন।
বাকি দুই জন ক্রীড়াঙ্গনে একেবারে অপরিচিত। তিন জনের কেউই গঠনতন্ত্রের নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্য নন বলে ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট সবার মত।
গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ১৮–তে উপদেষ্টা মনোনীত করার নির্দেশনার পাশাপাশি উপদেষ্টাদের এখতিয়ারও বর্ণিত রয়েছে।
সভাপতি চাইলে উপদেষ্টাদের ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সভায় আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন। তবে উপদেষ্টাদের কোনো ভোটাধিকার থাকবে না।
ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি প্রয়োজনে এই কমিটির যেকোনো সদস্যকে অথবা সকল সদস্যকে যেকোনো স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করতে পারবেন।