গলফেও এবার জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্য
সাধারণ মানুষের কাছে গলফ খুব জনপ্রিয় বা প্রচলিত খেলা নয়। গলফ ফেডারেশনের নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাঈদ সিদ্দিকী (অব.) গলফেও জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গত বুধবার গলফ ফেডারেশন পুনঃগঠন করেছে। ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
গলফ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাঈদ সিদ্দিকী (অব.) বলেন,
‘অ্যাডহক কমিটির অন্যতম দায়িত্ব নির্বাচন আয়োজন করা। এরপরও ফেডারেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি আমাদের লক্ষ্য থাকবে খেলাটিকে মানুষের আরও কাছে নিয়ে যাওয়া। গলফ এখনও এলিটদের খেলা হিসেবেই স্বীকৃত। আমাদের চেষ্টা থাকবে মানুষকে এই খেলার সঙ্গে যতটুকু সম্ভব সম্পৃক্ত করা।’
সাঁতার, অ্যাথলেটিক্সসহ অনেক খেলায় প্রতিভা অন্বেষণ করা হয়। গলফে ট্যালেন্ট হান্ট কর্মসূচি সেভাবে দেখা যায় না। ফেডারেশনের নতুন সাধারণ সম্পাদক গলফে প্রতিভা খোঁজার কথা ভাবছেন,
‘গলফ ব্যক্তিকেন্দ্রিক খেলা। যেহেতু এটা ব্যক্তি নির্ভর ডিসিপ্লিন, ফলে এখানে একজনের মাধ্যমে দেশকে অনেক বড় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করা সম্ভব। ফলে প্রতিভা অন্বেষণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
ব্যক্তি নির্ভর খেলায় দেশের বাইরে অনেক খেলায় অংশগ্রহণে পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। স্পন্সর, ভিসা জটিলতাসহ নানা কারণে খেলোয়াড়রা বিদেশে অধিক সংখ্যক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। গলফারদের যাবতীয় বিষয় ফেডারেশন থেকে আরও সহায়তা করার ভাবনা নতুন সাধারণ সম্পাদকের।
গলফ ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি ১৯ সদস্য বিশিষ্ট। ঈদের পর নতুন কমিটির প্রথম নির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে। প্রথম সভার পরই মূলত ফেডারেশনের পরিকল্পনার আনুষ্ঠানিক রূপরেখা পাওয়া যাবে।
গল্ফের উৎপত্তি স্কটল্যান্ডে। এটি ১৫ শতকে শুরু হয়। স্কটল্যান্ডের রাজা জেমস দ্বিতীয় প্রথম গল্ফ খেলা নিষিদ্ধ করেন। কারণ, এটি যোদ্ধাদের যুদ্ধ প্রশিক্ষণ থেকে বিরত রাখত।
পরবর্তীতে, ১৭৭৪ সালে এডিনবার্গ গলফারস সোসাইটি গলফের প্রথম নিয়ম তৈরি করে। তখন থেকে গলফ ক্রমশ জনপ্রিয় হতে থাকে।
বাংলাদেশে গল্ফ খেলার শুরু ব্রিটিশ আমলে। তখন এটি কেবল ব্রিটিশদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। ১৯৫০ সালের দিকে ঢাকায় প্রথম গল্ফ ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯০ সালের পর থেকে গল্ফ খেলা বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। এখন বাংলাদেশে অনেক গল্ফ ক্লাব রয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর অলিম্পিক। বাংলাদেশ অলিম্পিকে ওয়াইল্ড কার্ডের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে আসছিল।
২০১৬ সালে ব্রাজিলের রিও অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশের প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের গলফারদের পদক জয়ের সাফল্য রয়েছে।