বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের ভবিষ্যৎ শঙ্কায়!
বুধবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে খেলার মাঠেও। ড্রোন হামলায় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আজ পিএসএলের ম্যাচও স্থগিত হয়েছে। এমতাবস্থায়, চলতি মাসে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সিরিজের ভবিষ্যৎ শঙ্কায়!
কথা ছিল চলতি মাসেই বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মুখোমুখি হবে ওয়ানডে সিরিজে। তবে ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে দুই দলই রাজি হয়েছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সিরিজ আয়োজনের।
চলতি মাসে বাংলাদেশ দল যাবে পাকিস্তানে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে। সেই সিরিজের সূচিও প্রকাশ করেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ঘোষিত সূচি অনুযায়ী আগামী ২৫ মে থেকে শুরু হবে এই সিরিজ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ২৭ মে। এই দুই ম্যাচ হবে ফয়সালাবাদে।
আর এই দুই ম্যাচ দিয়ে ১৭ বছর পর ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে হবে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
২০০৮ সালের এপ্রিলের পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নির্বাসিত আছে এই স্টেডিয়ামে।
তবে সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে এই সিরিজ আয়োজনের ভবিষ্যৎ শঙ্কাজনক। এই সিরিজ আয়োজন নিয়ে শঙ্কিত বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও।
বিসিবি সভাপতি ফারুক বলছিলেন,
‘এটা জানার জন্য (সিরিজ মাঠে গড়াবে কিনা) আরো ১-২ দিন অপেক্ষা করতে হবে। এখন তো মনে হচ্ছে যে অবস্থা ভালো না, কিন্তু দেখা যাক কি হয়।’
পাকিস্তান থেকে সিরিজটি দুবাইতে স্থানান্তর প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
‘এটা তো আসলে দুইটা বোর্ডের ওপরে ডিপেন্ড করে। তাছাড়া আমাদের সিরিজ না এটা, আমাদের অ্যাওয়ে সিরিজ আর পাকিস্তানের হোম সিরিজ। এখন আসলে সবকিছু দুই-তিন দিন পরে বোঝা যাবে বিস্তারিত।’
আজ (৮ মে) বিসিবি পরিচালক আকরাম খান আসন্ন এই সিরিজ নিয়ে বলেন,
‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে আমরা অবশ্যই যাব। আমাদের কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে, পাকিস্তান কী বলছে সেটাও আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে।
ওদের পরিস্থিতি ওরা আমাদের চেয়ে ভালো জানবে। এটা ওদের সিদ্ধান্ত। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে আমাদের ঠিক করতে হবে আমরা যাব কি না।’
তবে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা সবার আগে বিবেচনা করবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন,
‘খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা সবার আগে। এটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে জরুরি। আমরাও সেদিকেই গুরুত্ব দিচ্ছি। আমার মনে হয়, আমাদের আরও ২-৩ দিন অপেক্ষা করে দেখা উচিত পরিস্থিতি কোন দিকে এগোচ্ছে।’
‘বাংলাদেশের পাকিস্তানে যাওয়ার কথা। ভারতেরও বাংলাদেশে আসার কথা। আবার এশিয়া কাপ আছে। সবকিছু মিলিয়ে, পরিস্থিতি শান্ত না হলে একটু কঠিন হয়ে যাবে। আল্লাহ না করুক, পরিস্থিতি যেন আরও খারাপ না হয়।’
-যোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রাওয়ালপিন্ডিতে আজ পেশোয়ার জালমি এবং করাচি কিংস মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল। পেশোয়ারের হয়ে খেলছেন বাংলাদেশি পেসার নাহিদ রানা।
কিন্তু ম্যাচের ভেন্যুর পাশেই স্থানীয় সময় সকালের দিকে আচমকা ড্রোন হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। যে কারণে নতুন করে শঙ্কা নেমে এসেছে দেশটিতে।
এদিকে বাংলাদেশি দুই ক্রিকেটারের ফেরা নিয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে বিসিবি। সেক্ষেত্রে আজ টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও তাদের আলোচনা হয়েছে।
জানা গেছে, চার্টার্ড ফ্লাইটে করে বিদেশিদের দুবাই পর্যন্ত পৌঁছে দেবে পিসিবি। এরপর ক্রিকেটাররা যার যার গন্তব্যে চলে যাবেন।